পাঁশকুড়া

পূর্ত দফতরের জায়গায় অবৈধ বাড়ি উচ্ছেদ

পাঁশকুড়া–ঘাটাল সড়কের ধারে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার কনকপুরে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে একটি বাড়ি তৈরি বসবাস করছিলেন কয়েকটি পরিবার। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ত দফতর ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। ওই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পূর্ত দফতরের ঘাটাল বিভাগের এক আধিকারিকের উপস্থিতিতে ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে অভিযান চলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৫ ০১:০৮
Share:

পাঁশকুড়া–ঘাটাল সড়কের ধারে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকার কনকপুরে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে একটি বাড়ি তৈরি বসবাস করছিলেন কয়েকটি পরিবার। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ত দফতর ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। ওই উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পূর্ত দফতরের ঘাটাল বিভাগের এক আধিকারিকের উপস্থিতিতে ও পাঁশকুড়া থানার পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে অভিযান চলে।

Advertisement

পূর্ত দফতর ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে কনকপুরের কাছে পাঁশকুড়া-ঘাটাল সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জায়গার পরেই রায়ত জমি রয়েছে। ওই জমির সামনে পূর্ত দফতরের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি কর বসবাস করছিলেন শেখ সাহাজাহান-সহ তাঁর আত্মীয়রা। পূর্ত দফতরের জায়গা বেদখল করে বাড়ি থাকার ফলে ওই রায়ত জমির সামনে দিয়ে সড়কে যাওয়ার যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় উচ্চ-আদালতের দ্বারস্থ হন ওই রায়ত জমির মালিকের পরিবার। ওই আবেদনের ভিত্তিতে সম্প্রতি হাইকোর্ট পাঁশকুড় –ঘাটাল সড়কের পাঁশকুড়ার কনকপুরের কাছে সড়কের ধারে থাকা ওই বেআইনি কাঠামো সরানোর নির্দেশ দেন পূর্ত দফতরকে।

এরপরেই আদালতের নির্দেশ মেনে পূর্ত দফতর উচ্ছেদ অভিযান চালায়। বাড়ি ভাঙার সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ কয়কেজন মহিলা সহ ৮ জনকে আটক করে। শেখ সাহাজাহান ও তাঁর আত্মীয় শেখ মিজানুরের অভিযোগ, ‘‘আমরা এখানে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। কিন্তু আমাদের কোন পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদ করা হল।’’ পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই পূর্ত দফতর এ দিন ওই কাঠামো অপসারণের কাজ করেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন