হনুমানের ভয়ে ছাদ থেকে ঝাঁপ পরীক্ষার্থীর

স্থানীয় সূত্রের খবর, বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা দাস নন্দকুমারের কামারদা চারু ভগবতী বালিকা বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী। তার বাবা উত্তম দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাবা-মা ও এক ভাই রয়েছে মৌমিতার। পড়াশোনায় মেধাবী মৌমিতা এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সিট পড়েছে দক্ষিণ নারিকেলদা হাইস্কুলে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দকুমার শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

পরপর দু’দিন মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে বৃহস্পতিবার ছিল ছুটি। শীতের সকালে একতলা বাড়ির ছাদে মাদুর পেতে পড়তে বসেছিল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মৌমিতা। আচমকা বাড়ির ছাদে তার পিছনে হাজির হয়েছিল এক হনুমান। সেই হনুমানের হাত থেকে ‘বাঁচতে’ ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় মৌমিতা। তাতেই কোমর, পা এবং হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছে সে। ঘটনাটি নন্দকুমারের ব্যবত্তারহাট পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বলরামপুর গ্রামের।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, বলরামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৌমিতা দাস নন্দকুমারের কামারদা চারু ভগবতী বালিকা বিদ্যামন্দিরের ছাত্রী। তার বাবা উত্তম দাস পেশায় রাজমিস্ত্রি। বাবা-মা ও এক ভাই রয়েছে মৌমিতার। পড়াশোনায় মেধাবী মৌমিতা এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। সিট পড়েছে দক্ষিণ নারিকেলদা হাইস্কুলে।

পরিবার সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে মৌমিতা একা বাড়ির ছাদে মাদুর পেতে বসে পড়ছিল। সকাল ৮টা নাগাদ একটি হনুমান লাফ দিয়ে ওই বাড়ির ছাদে মৌমিতার পিছনেই চলে আসে। ভয় পেয়ে মৌমিতা উঠে দাঁড়াতেই ওই হনুমানটি এগিয়ে আসে বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। আর তাতেই আরও ভয় পেয়ে মৌমিতা বাড়ির পাশে থাকা পেয়ারা গাছের দিকে ঝাঁপ দেয়। উপর থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাঁরাই মৌমিতাকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান।

Advertisement

জেলা হাসপাতাল সূত্রের খবর, প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে মৌমিতা আজ, শুক্রবার পরীক্ষা দিতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মৌমিতার বাবা উত্তম বলেন, ‘‘মেয়ে এদিন একা বাড়ির ছাদে পড়তে বসেছিল। ছাদে হনুমান চলে আসায় আক্রমণ করতে পারে, এই ভেবে ঝাঁপ দেয়। মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে এমন বিপদ ঘটবে ভাবিনি।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শান্তিশ্রী মানিক বলেন, ‘‘মৌমিতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছি। ও যাতে পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যাপারে সাহায্য করার কথা ওর পরিবারকে জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন