তৃণমূল কার্যালয় থেকে ‘কৃষক বন্ধু’র ফর্ম বিলি, ক্ষোভ 

গত ১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পে’র চেক প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো, নির্দিষ্ট সূচি মেনে প্রত্যেকটি ব্লকের এক একটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু হয়েছে কৃষকদের ওই প্রকল্পের ফর্ম বিলির কাজ। সেটি পূরণ করে ভোটার কার্ড, জমির নথি এবং ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার আধিকারিকের কাছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোলাঘাট শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পে’র আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে থেকে সরকার নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে কৃষকেরা আবেদন পত্র সংগ্রহ করবেন এবং নির্দিষ্ট নথি সমেত সেই ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন। কিন্তু কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েতে সেই নিয়ম ভেঙে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে ওই ফর্ম বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এসইউসি সমর্থিত কৃষক সংগঠন ‘কৃষক সংগ্রাম পরিষদে’র পক্ষ থেকে কোলাঘাট ব্লক সহ-কৃষি অধিকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত ১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্পে’র চেক প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সরকারি নির্দেশ মতো, নির্দিষ্ট সূচি মেনে প্রত্যেকটি ব্লকের এক একটি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু হয়েছে কৃষকদের ওই প্রকল্পের ফর্ম বিলির কাজ। সেটি পূরণ করে ভোটার কার্ড, জমির নথি এবং ব্যাঙ্কের পাস বইয়ের প্রতিলিপি জমা দিতে হবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার আধিকারিকের কাছে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোলাঘাট ব্লকের বৃন্দাবনচক গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু হয়েছে প্রকল্পের ফর্ম বিলির কাজ। চলবে আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। কিন্তু এলাকার কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসের পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক পার্টি অফিস থেকে বিলি হচ্ছে ফর্ম। তাঁরা জানাচ্ছেন, এলাকার তৃণমূল নেতারা বাড়ি গিয়ে কৃষকদের পার্টি অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহের আবেদনও জানাচ্ছেন।

Advertisement

কোলাঘাট ব্লক সহ- কৃষি অধিকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘সরকারি ফর্ম দলীয় অফিস থেকে বিলি করে শাসকদল কার্যত ভোটের প্রচার করছে। যে সব কৃষকেরা তৃণমূল করেন না, তাঁদের পঞ্চায়েত অফিস থেকে লাইন দিয়ে ফর্ম তুলতে হচ্ছে।’’

তমলুকের সহ-কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মলয় মেইকাপ বলেন, ‘‘সরকারি নিয়মে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে জায়গার প্রমাণ দেখালে প্রত্যেক কৃষককে একটি করে ফর্ম দেওয়া হবে। কাউকে একাধিক ফর্ম দেওয়ার নিয়ম নেই।’’ কিন্তু তাহলে ফর্ম কীভাবে তৃণমূলের দলীয় অফিসে গেল? এ ব্যাপারে আবেদনপত্র বিলির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার এক আধিকারিক হাসিবুল মিদ্যা বলেন, ‘‘আমাদের দায়িত্ব থাকে প্রেস থেকে এডিএ অফিস পর্যন্ত ফর্ম পৌঁছে দেওয়া। ওখান থেকে কিভাবে অন্যের হাতে ফর্ম চলে যাচ্ছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’’

সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন কোলাঘাটের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কিষাণ খেত মজুর সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের দলের কর্মীরা কৃষকদের ফর্ম পূরণের কাজে সাহায্য করছেন। যাঁরা কোনও দিন এই কাজ করেননি, তাঁরাই এসব অভিযোগ করেছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন