—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করছেন। পারিবারিক অশান্তির মাঝে কেউ নজর দেননি বাড়ির খুদে সদস্যের দিকে। ৪ বছরের শিশু আস্তে আস্তে চলে গিয়েছিল বাড়ি পাশে পুকুরের ধারে। যখন তার খোঁজ পড়ল, তখন আর বেঁচে নেই সে! শনিবার বিকেলে ৪ বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার হল মেদিনীপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হবিবপুর এলাকায়। শোরগোল এলাকায়। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় কোতোয়ালি থানার পুলিশের হাতে আটক হলেন শিশুর বাবা ও ঠাকুরমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে নিরূপ গাঁতাইত ও রুবি গাঁতাইত প্রেম করে বিয়ে করেন। দম্পতির দুই সন্তান। শনিবার সকাল থেকে নিরূপ ও রুবির ঝগড়া হচ্ছিল। ওই সময়ে তাঁদের কোলের শিশু কখন পুকুরের ধারে চলে গিয়েছে, তা কেউই খেয়াল করেননি। পরে শিশুটিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন, আগেই মৃত্যু হয়েছে তার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর শিশুমৃত্যুর ঘটনায় বাবা এবং ঠাকুরমাকে আটক করেছে পুলিশ। নিরূপ এবং তাঁর মা মিনু গাঁতাইতের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন কাউন্সিলর ইন্দ্রজিৎ পানিগ্রাহী থেকে প্রতিবেশীরা।
শিশুর মা রুবির অভিযোগ, ‘‘গত ২-৩ বছর ধরে নিরূপ এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়েছে। তার পর থেকে আমার উপর অত্যাচার শুরু করেছে। দিনের পর দিন স্বামীর হাতে মার খেতে হয়েছে।’’ তবে এ নিয়ে এলাকাবাসী থেকে কাউন্সিলর বার বার থানায় অভিযোগ দায়েরের কথা বললেও স্বামীর প্রতি ভালবাসা থেকেই নাকি চুপ ছিলেন রুবি। তাঁর দাবি, শুক্রবার রাতে স্বামী প্রচণ্ড মারধর করেন তাঁকে। শনিবার সকালেও তাঁর গায়ে হাত তোলেন। সেই ফাঁকে চার বছরের শিশু বাড়ির অদূরে পুকুরে পড়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ পর তাঁর খোঁজ না পেয়ে পাড়ার লোকজনদের ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি। সকলে মিলে খোঁজাখুঁজির পর হঠাৎ পুকুরে দেহ ভেসে উঠতে দেখেন তাঁরা।