এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
সরকারি হাসপাতালের ভিতরে কর্তব্যরত এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির ওই হাসপাতালে কর্মরত বেসরকারি সংস্থার কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
সূত্রের খবর, পাঁশকুড়া হাসপাতালে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাকে ক্রমাগত শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোরাজুরি করছিলেন। কাউকে বললে মেরে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছিলেন।’’ নির্যাতিতার দাবি, এই বিষয়ে তিনি তাঁর সংস্থার কর্তাদের জানিয়েছিলেন। অভিযোগকারিণী জানান, অভিযুক্ত তাঁদের সংস্থারই ফেসিলিটি ম্যানেজার। কাজ করতেন পাঁশকুড়া হাসপাতালে। নির্যাতিতার কথায়, ‘‘আমাকে কিছু জিনিস আনতে বলেছিলেন। আমি তাঁর ঘরে গেলে আচমকাই আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। পরে এই বিষয়ে আমি হাসপাতাল সুপারকে জানিয়েছি।’’
ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। বিক্ষোভকারী এক যুবকের দাবি, ‘‘হাসপাতালের ফেসিলিটি ম্যানেজার কর্মীদের সঙ্গে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেন। প্রতিনিয়ত মহিলা কর্মীদের সঙ্গে কুরুচিকর কথা বলেন। মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হয় কর্মীদের।’’ অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবিও তোলেন বিক্ষোভকারীরা।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। স্থানীয় বিজেপি নেতারা পাঁশকুড়া থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সিন্টু সেনাপতির কথায়, ‘‘আরজি কর থেকে শিক্ষা নেয়নি তৃণমূলের সরকার। পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ভিতরেই এক মহিলা কর্মীকে কী ভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হল। এই ঘটনায় আমরা চরম উদ্বিগ্ন।’’