মৎস্য চাষ— নির্দিষ্ঠ ঘেরা জায়গায়, পুকুর বা ভেড়িতেই হয়। আর সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরেন মৎস্যজীবীরা। এই ধারণা এ বার বদলে যাবে। অন্তত সে রকমই পরীক্ষা নিরীক্ষাই চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা সফল হলে সমুদ্রের বুকে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ঘেরাটোপ বানিয়ে চাষ করা যাবে মাছ।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সৌম্যেন সাউয়ের নেতৃত্বে আটজনের এক প্রতিনিধিদল বঙ্গোপসাগরে যায়। মন্দারমণি থেকে চার কিলমিটার দূরে সমুদ্রের মধ্যে একটি জায়গা মাছ চাষের জন্য পছন্দ করেন। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ-র মধ্যেই বিশাল আকৃতির গোলাকার দু’টি লোহার খাঁচা ছাড়া হয়। সৌম্যেনবাবুর কথায় “খাঁচা দু’টি এমন ভাবে তৈরি যাতে সমুদ্রের নোনা জলে তা নষ্ট না হয়। সহজে মাছ চাষ করা যাবে।’’ সাড়ে চার মিটার ব্যাসের ওই লোহার খাঁচায় মাছ চাষের তদারকির জন্য ওল্ড দিঘায় একটি ‘রিসার্চ সেন্টার’ও খোলা হয়েছে। ‘সেন্ট্রাল মেরিন ফিশারিজ রিসার্চ ইন্সটিটিউশন’-এর আর্থিক সহায়তায় এই প্রকল্প প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দফতরও এ জন্য বিভিন্নভাবে
সাহায্য করছে।
বৃহস্পতিবার প্রথম ওই খাঁচায় মাছ ছাড়া হবে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আপাতত ভেটকির চারা ছাড়া হবে। পরে সামুদ্রিক চিংড়ি চাষেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।