১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন— প্রায় দু’মাসের নিষেধাজ্ঞার পর সমুদ্রে রওনা দিল প্রায় ১৬০০ ট্রলার। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পেটুয়াঘাট থেকে ১০০০, শঙ্করপুর থেকে ৫০০ এবং শৌলা থেকে ১০০টি ট্রলার সমুদ্রে গিয়েছে। এখনও ৯০০ ট্রলার বিভিন্ন ঘাটে বরফ তোলার জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর উপকূলের প্রায় আড়াই হাজার ট্রলার সমুদ্রে থাকবে।
মৎস্যজীবীদের আশা এ বার ভাল ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। মৎস্যজীবী রতন ওঝা বলেন, “বেশ কয়েক মাস আগেই ছোট ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া গিয়েছিল। তা ছাড়া দু’মাসের নিষেধাজ্ঞা তো ছিলই। ফলে এ বার মাছ ভাল উঠবে বলেই মনে হচ্ছে।’’ দিঘার মৎস্যজীবী নেতা শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “আগে মাছ ধরায় ৪৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল। গত বছর থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৬০ দিন। তাতে গত বার ইলিশ মাছের সাইজ ও পরিমাণ দুই-ই বেড়েছিল। তাই এ বার সেই পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশা।’’ মৎস্যজীবীদের দাবি, এ বার নিষিদ্ধ সময়ে সমুদ্রে অনেক বেশি নজরদারি চালিয়েছে মৎস্য দফতর। তাতেই সুফল মিলবে। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর দাবি, সব ঠিকঠাক চললে ১৯ জুন রাত থেকে ২১ জুনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ট্রলারগুল ফিরে আসবে। তারপরই বোঝা যাবে, দু’মাসের নিষেধাজ্ঞায় কতটা ফল হল।