মোদীর সভায় আদিবাসী ছোঁয়া

কী ভাবে দেওয়া হবে এই বার্তা? বিজেপি সূত্রের খবর, মোদীর সভাতে থাকতে পারে লোকশিল্পের ছোঁয়া। জঙ্গলমহলের লোকশিল্পীদের দল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৮ ০২:১১
Share:

খুঁটিয়ে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার নিরাপত্তার সবদিক খতিয়ে দেখতে শুক্রবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল মেদিনীপুরে। ছিলেন এসপিজি-র (স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ) আধিকারিকেরা। শুক্রবার সভাস্থলে এসপিজি-র তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র

তাঁর সরকার শুধু কৃষকবন্ধু নয়, আদিবাসী দরদিও বটে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা থেকে দেওয়া হতে পারে এই বার্তাও।

Advertisement

কী ভাবে দেওয়া হবে এই বার্তা? বিজেপি সূত্রের খবর, মোদীর সভাতে থাকতে পারে লোকশিল্পের ছোঁয়া। জঙ্গলমহলের লোকশিল্পীদের দল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দু’টি লোকশিল্পের দলকে মেদিনীপুরে ডাকা হবে। একটি পুরুষদের, অন্যটি মহিলাদের। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন, “লোকশিল্পীদের এক অনুষ্ঠান করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আদিবাসী নৃত্য হবে। লোকশিল্পের দু’টি দল থাকবে।”

ধান-সহ ১৪টি খারিফ শস্যের সহায়কমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদীর মন্ত্রিসভা। এর জন্য মোদীকে অভিনন্দন জানাতে সামনের সোমবার মেদিনীপুরে সভা করছে বিজেপি। ‘কৃষক কল্যাণ সমাবেশে’ উপস্থিত হয়ে অভিনন্দন গ্রহণ করার কথা মোদীর। বিজেপি সুত্রের খবর, কেন্দ্র যে কৃষকবন্ধু তা বোঝাতেই এই সমাবেশের আযোজন করা হয়েছে। কিন্তু কোন অঙ্কে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য মেদিনীপুরকে বেছে নেওয়া হল? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এবার পঞ্চায়েত ভোটে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুলনামূলক ভাল ফল করেছে। তাই লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক আরও সুসংহত করতে জোর দিচ্ছে বিজেপি। সেই অঙ্কেই বীরভূমের পাশাপাশি পুরুলিয়া ঘুরে গিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এবার প্রধানমন্ত্রী আসছেন মেদিনীপুরে। প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোকশিল্পের অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করে কি জঙ্গলমহলকে কোনও বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি? বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “জঙ্গলমহলের আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে মোদী সরকার বরাবরই তত্পর।”

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের এই একটি মাত্র পঞ্চায়েত সমিতি গেরুয়া শিবিরের দখলে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর সভায় কেশিয়াড়ি থেকেই লোকশিল্পের দল আসবে। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশও বলেন, “গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে। আমাদের সকলেরই উচিত, গ্রামীণ শিল্পসংস্কৃতিকে ধরে রাখার চেষ্টা করা। গ্রামগঞ্জ থেকে শহর- সর্বত্র শিল্পসংস্কৃতির প্রসার করা।” তাঁর কথায়, “এই বার্তা দিতেই ওই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা।” সভাস্থলে দু’টি মঞ্চ হবে। মূলমঞ্চে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশে আরেকটি মঞ্চ হবে। এখানে দলের কেন্দ্র ও রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকবেন। সভা শুরুর আগে এই মঞ্চেই লোকশিল্পের অনুষ্ঠান হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন