দখল-দাপটে আনাজের মাঝে দিশাহারা পথচারী

নতুন জেলার মুকুট বসেছে মাথায়। অথচ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা জুড়ে প্রতিদিন বসে আনাজ বাজার। যার ফলে, ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে লোকাল বোর্ড মোড় যাওয়ার সাড়ে তিনশো মিটার কংক্রিটের রাস্তা দিনের বেশির ভাগ সময়েই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৪
Share:

দখল: রাস্তা জুড়ে এ ভাবেই দাঁড়িয়ে থাকে আনাজের লরি। নিজস্ব চিত্র

নতুন জেলার মুকুট বসেছে মাথায়। অথচ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা জুড়ে প্রতিদিন বসে আনাজ বাজার। যার ফলে, ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে লোকাল বোর্ড মোড় যাওয়ার সাড়ে তিনশো মিটার কংক্রিটের রাস্তা দিনের বেশির ভাগ সময়েই কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে থাকে।

Advertisement

ঝাড়গ্রাম শহরে প্রধান রেল ক্রসিংয়ে উড়ালপুল তৈরি হওয়ার পরে স্টেশন থেকে লোকাল বোর্ড মোড় হয়ে নতুনডিহি ও বামদা এলাকায় যাওয়ার সহজ পথ হল রেল বাজারের ওই রাস্তা। কিন্তু রাস্তার দু’দিকেই রয়েছে আনাজের আড়তদার ও খুচরো ব্যবসায়ীদের দোকান। প্রতিদিন ভোর থেকেই রাস্তার উপরে আনাজের পাইকারি বাজার বসে যায়। অভিযোগ, আনাজের স্থায়ী দোকানগুলিও রাস্তা জুড়ে জিনিসপত্র রেখে বিক্রিবাটা করায় সমস্যা আরও বাড়ে। তার উপর রাস্তার মাঝেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে আনাজ নামানো হয়। ফলে যানজট বাড়ে। জরুরি প্রয়োজনে রেল বাজারের রাস্তাটি দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ও দমকলও যেতে পারে না।

প্রতি বৃহস্পতি ও রবিবার হাট বসে । ওই দিনগুলিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে আর আনাজের গাড়ির দাপটে নাজেহাল অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের। ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাড়ে তিনশো মিটার ওই রাস্তাটি রয়েছে রেলের এলাকায়। উড়ালপুল তৈরির পরে এখন পাঁচ মাথার দিক থেকে সরাসরি মেন রোড দিয়ে লোকাল বোর্ড মোড় যাওয়ার জন্য যান চলাচলের প্রশস্ত রাস্তা নেই। ফলে আনাজ বাজারের রাস্তা দিয়ে সহজে লোকাল বোর্ড মোড় ও বামদা এলাকায় যাওয়া যায়। কিন্তু রাস্তাটি কার্যত আনাজ ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাওয়ায় যান চলাচলে খুবই সমস্যা হচ্ছে। ফলে নতুনডিহি ও বামদা এলাকার বাসিন্দারা ঘুরপথে যাতায়াত করছেন।

Advertisement

গত বছর অগস্ট মাসে আনাজ বাজারটি শহরের অদূরে জামদা এলাকায় কিসান মাণ্ডিতে সরানোর চেষ্টা করেছিল ঝাড়গ্রাম মহকুমা প্রশাসন। কিন্তু আনাজ ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভে পিছু হঠতে বাধ্য হয় প্রশাসন। ব্যবসায়ীদের দাবি, বহু আগেই থেকেই ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশন থেকে লোকাল বোর্ড যাওয়ার রাস্তার দু’ধারে এই বাজারটি বসছে। সেখানেই আনাজের আড়ত। ভিন রাজ্যের পাইকাররাও ট্রেনে এসে এখান থেকে আনাজ কিনে নিয়ে যান। তাই তাঁরা ওখানেই। যদিও রাস্তা দখল করে এভাবে বাজার বসাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক (সদর) নকুলচন্দ্র মাহাতো বলেন, “সমস্যা মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। বাজারের জন্য বিকল্প ভাবনাচিন্তা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন