বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণার পর কেটে গিয়েছে প্রায় একমাসের বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬ টি বিধানসভার মধ্যে বামফ্রন্ট ১৪ টি ও কংগ্রেস ২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এ বার জেলায় জোট প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা করতে আসছেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
রবিবার সকালে প্রথমে কাঁথি শহরে কাঁথি স্টেশন সংলগ্ন মাঠে ও বিকেলে তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধের মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন সূর্যকান্তবাবু। কাঁথির জনসভায় কাঁথি ও এগরা বিধানসভা কেন্দ্রের বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত থাকবেন। তমলুকের জনসভায় তমলুক ও হলদিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা আসবেন। দুই জায়গাতেই জনসভায় সূর্যকান্ত মিশ্র ছাড়াও সিপিআই’এর রাজ্য সম্পাদক প্রবোধ পান্ডা, আরএসপি নেতা মনোজ ভট্টাচার্য সহ বাম শরিকদলগুলির নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সভায় জেলা কংগ্রেস নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি।
নিরঞ্জনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘জোট প্রার্থীদের সমর্থনে কাঁথি ও তমলুকে দুটি সভায় বক্তব্য রাখবেন। সভায় আসার জন্য কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁরা আসবেন বলে জানিয়েছেন।’’
সিপিএমের দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৭ সালে নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের জেরে জেলায় বামেদের জনসমর্থন অনেকটাই হারানোর পাশাপাশি তৃণমূলের উত্থান হয়েছে। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জেলায় বামেদের পরাজয় ঘটেছে। এমনকি গত ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেলার ১৬ টি বিধানসভা আসনেই বামেদের হারিয়ে জিতেছিল তৃণমূল। এ বার বিধানসভা নির্বাচনে জেলায় সেই বিরোধী-শূন্য দশা ঘোচানো বামফ্রন্টের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সারদা কেলেঙ্কারি, নারদ ঘুষকাণ্ড থেকে উড়ালপুল ভেঙে মৃত্যুর ঘটনাকে তুল জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন জোট প্রার্থীরা। বাম-কংগ্রেসের জোটের বার্তা জোরদার করতে জেলা সিপিএম নেতৃত্বের আমন্ত্রণ পেয়ে ইতিমধ্যে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব সিপিএমের অফিসে গিয়ে বৈঠকও করেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মিছিলের পাশাপাশি জোট প্রার্থীদের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে সভায় বামফ্রন্ট নেতাদের সাথে উপস্থিত থাকছেন কংগ্রেস নেতৃত্বরাও। রবিবার সূর্যকান্ত মিশ্রের সভা বিরোধী বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের প্রচারে আরও গতি আনবে বলেই জেলা সিপিএম নেতৃত্বের দাবি।