ঝাউগাছ চুরি, তাড়া খেয়ে পালাল ‘চোর’

হলদির তীরে সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিদিনই বহু এলাকবাসী বালুঘাটায় আসেন। রবিবার সূর্যাস্ত দেখতে ওই এলাকায় এসেছিলেন হলদিয়ার বাসিন্দা সঞ্জীব জানা। তিনি দেখেন, কয়েকজন ঝাউ গাছ কাটছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:২৪
Share:

এভাবেই গাছের ডালপালা কাটা হচ্ছে বলে নালিশ। নিজস্ব চিত্র

জেলার দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে হলদিয়ার কাছে রয়েছে বালুঘাটা বনাঞ্চল। নন্দকুমার রেঞ্জের অধীনে থাকা ওই বনাঞ্চলে রয়েছে সারিসারি ঝাউ গাছ। পাশেই বয়ে গিয়েছে হলদি নদী। ওই ঝাউগাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে গাছ কাটার খবর পেয়ে ‘চোর’দের তাড়াও করলেন বন কর্মীরা।

Advertisement

হলদির তীরে সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিদিনই বহু এলাকবাসী বালুঘাটায় আসেন। রবিবার সূর্যাস্ত দেখতে ওই এলাকায় এসেছিলেন হলদিয়ার বাসিন্দা সঞ্জীব জানা। তিনি দেখেন, কয়েকজন ঝাউ গাছ কাটছে। সঞ্জীব সানসেট ভিউ পয়েন্টে থাকা পুরসভার নিরাপত্তা রক্ষীদের খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় বালুঘাটা বিট অফিসে। এর পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেন বন কর্মীরা। তাঁদের দেখে কাটা গাছ ফেলে দিয়েই পালিয়ে যায় ওই ‘চোরে’রা। পুরসভার রক্ষীরা জানাচ্ছেন, সন্ধ্যায় ওই এলাকায় রক্ষীরা থাকেন না। তাতেই গাছ চুরির ঘটনা ঘটছে।

উল্লেখ্য, প্রায় ১৮০ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে বালুঘাটা অরণ্য। কয়েক লক্ষ ঝাউ গাছ এবং ম্যানগ্রোভ রয়েছে সেখানে। কিন্তু এখানেই সতেজ গাছের পাশাপাশি মরে যাওয়া গাছের কাঠ চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য জয়দাব দাস বলেন, ‘‘সানসেট ভিউ পয়েন্ট এবং বন বিষ্ণুপুর এলাকায় গাছ কাটার ঘটনা অনেক কমেছে। কিন্তু রায়রায়চক এলাকায় এই ধরনের কাজ এখনও হচ্ছে বলে শুনেছি।’’

Advertisement

গাছ কাটা এবং চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে নন্দকুমারের রেঞ্জার প্রকাশ মাইতি বলেন, ‘‘আমরা সজাগ রয়েছি। গাছ রক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন