শিশুর যত্নে এবার সরকারি দত্তক কেন্দ্র 

সোমবার সেটির উদ্বোধন করেন নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। শশী বলেন, ‘‘এই কেন্দ্র রাজ্য সরকার সরাসরি চালাবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৩
Share:

সরকারি দত্তক কেন্দ্রের উদ্বোধনে শশী পাঁজা। মঙ্গলবার মেদিনীপুরে। —নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যের প্রথম সরকারি শিশু দত্তক কেন্দ্র চালু হল মেদিনীপুরে। মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে (গালর্স হোম) এই কেন্দ্র চালু হয়েছে। সোমবার সেটির উদ্বোধন করেন নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। শশী বলেন, ‘‘এই কেন্দ্র রাজ্য সরকার সরাসরি চালাবে।’’

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ২২টি দত্তক কেন্দ্র রয়েছে। তবে ওই কেন্দ্রগুলি চালায় কোনও না কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রাজ্য সরকার তাদের সাহায্য করে। ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলা সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি প্রমুখ। শশী জানান, ২২টি কেন্দ্রে সরকার অর্থ সাহায্য করলেও সেগুলি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা দ্বারা পরিচালিত হয়। তাঁর কথায়, ‘‘এ বারই আমরা সরাসরি পরিচালনার মধ্যেই ঢুকছি।’’

নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী জানান, মেদিনীপুর দিয়ে শুরু হল। রাজ্যে এই রকম আরও ৫টি শিশু দত্তক কেন্দ্র হবে। তাঁর কথায়, ‘‘সব মিলিয়ে রাজ্যে এরকম ৬টি কেন্দ্র হবে। প্রথমটি হল মেদিনীপুরে।’’ শিশু দত্তকের প্রক্রিয়ায় কোনও সরলীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে? শশীর দাবি, ‘‘আগে দত্তক নিতে ইচ্ছুকদের মধ্যে কেউ কেউ টাকার বিনিময়ে আগে সন্তানের অভিভাবকত্ব পেয়ে যেতেন। তবে এখন পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে নিয়ন্ত্রিত হয়। এখানে দুর্নীতি হওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’’ মেদিনীপুরের এই কেন্দ্রে এখন ১০ জন শিশু থাকতে পারবে। ৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের এখানে রাখা হবে। শিশুরা এখানে পড়াশোনার মধ্যে থাকবে। সমাজের মধ্যে থেকে যা শেখা যায় তাও শিখবে। মন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই কেন্দ্র থেকে বাচ্চা যাতে সহজভাবে পরিবারে যেতে পারে তা দেখা হবে। শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ।’’

Advertisement

এ দিন মেদিনীপুর থেকেই রাজ্য ব্যাপী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওষুধের কিট প্রদান, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা-সহ বেশ কিছু কর্মসূচির সূচনা করেন নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন