Police Arrest

বিয়ে করতে এসে ছাদনাতলা থেকে হাজতে গেলেন বর, গ্রেফতার পুরোহিতও, পুলিশ দেখে পালালেন অতিথিরা

পুলিশকে দেখে দৌড় লাগান বিয়ের আসরে উপস্থিত অতিথিরা। তবে পাত্র-পাত্রী এবং পুরোহিত পালাতে পারেননি। বর ও পুরোহিতকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঘাটাল মহকুমা আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৮
Share:

বিয়ে করতে এসে জেলযাত্রা বরের (পাঞ্জাবি পরিহিত)। গ্রেফতার পুরোহিতও (হলুদ ফতুয়া)। নিজস্ব চিত্র।

ছাদনাতলায় শুরু হয়েছিল বিয়ের তোড়জোড়। তৈরি পুরোহিতও। ঠিক তখনই বিয়েবাড়িতে প্রবেশ ‘অনিমন্ত্রিতদের’। বিয়ের আসর থেকেই গ্রেফতার করা হল পাত্রকে। পাকড়াও হলেন পুরোহিতও। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে।

Advertisement

মঙ্গলবার ঘাটাল মহকুমা আদালত চত্বরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কারণ, আদালতে আনা হয়েছে বর ও কনের সাজে দুই তরুণ-তরুণীকে। আর তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন পুরোহিতও। কী মামলায় তাঁরা আটক হলেন তা জানতে কৌতূহলী ছিলেন আদালত চত্বরে দাঁড়ানো মানুষজন। জানা গেল, নাবালিকাকে বিয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন যুবক। আদালত কী রায় দেয় সেটা জানার জন্যই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন অনেকে। শেষমেশ ঘাটাল মহকুমা আদালত পাত্র ও পুরোহিতের ১০ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে তার বাবা-মায়ের কাছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার রাতে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার পুলিশের কাছে খবর যায় এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাত্র ও পাত্রী দু’জনের বাড়িই হুগলির খানাকুলে। তবে ঘাটাল থানার মনসুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বরকতিপুর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে এই বিয়ের আয়োজন হয়েছে। খবর পেয়ে ছাদনাতলায় পৌঁছে যায় পুলিশ। তারা জানতে পারে পাত্রীর বয়স মাত্র ১৫ বছর। সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশকে দেখেই পালাতে শুরু করেন বিয়ের আসরে উপস্থিত অতিথিরা। তবে পাত্র-পাত্রী এবং পুরোহিত পালাতে পারেননি। তাঁদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় ঘাটাল থানায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ১৫ বছরের ওই নাবালিকা খানাকুল থানার তাঁতিশাল গ্রামের বাসিন্দা। পাত্রের বয়স ২৬ বছর। তাঁর বা়ড়ি খানাকুল থানার পাঁচকুঠুরি গ্রামে। ওই বিয়ে সম্পর্কে বাড়ির লোকজন জানতেন কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement