ট্রাক বিক্রির পর টাকা-পয়সা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ালো দু’পক্ষ। ঘটনায় দু’পক্ষেরই চারজন জখম হয়েছে। আহতদের মধ্যে দু’জনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসা চলছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। শনিবার বিকালে চন্দ্রকোনা থানার কৃষ্ণপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। রবিবার এলাকায় ছিল পুলিশি টহল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুরের হারান খান ট্রাক বিক্রি করেন ইকবাল সরকার নামে এক ব্যক্তিকে। ট্রাকটি কেনার সময় কিছু টাকা দিলেও বাকি ছিল হাজার পঞ্চাশেক টাকা। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ইকবাল টাকা না দেওয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। গত শনিবার ছিল টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেদিনও টাকা না দেওয়ায় ঝামেলা চরম হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, হারানের ভাই কুদ্দুস খান ফের ইকবালের থেকে টাকা চান। সেই সময় ইকবাল-সহ তাঁর লোকজন চড়াও হয় কুদ্দুস খানের উপর। লাঠি ও রড দিয়ে ব্যাপক মারধর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হারান খানও। তিনিও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।
ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা সামাল দেয়। রাতে হারান খানের বাবা ফজলুল খান চন্দ্রকোনা থানায় ইকবাল-সহ পাঁচ জনের নামে থানায় মামলা করেন। ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হারান বলেন, “আমার প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলেই মারধর শুরু করে। আমার লিখিত কাগজও রয়েছে। তা সত্ত্বেও টাকা না দিয়ে উল্টে আমাদের উপরই হামলা চালায়।”