প্রতীকী ছবি।
গলায় ওড়নার ফাঁস দেওয়া দেহটি ঝুলছে রান্নাঘরের ছাদ থেকে। হাতের তালুতে কলম দিয়ে লেখা— ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
রবিবার এমন অবস্থায় এক কলেজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হল বেলদায়। সুপর্ণা দাস (২০) নামে ওই তরুণীর বাড়ি বেলদা থানার তুতরাঙা পঞ্চায়েতের ইসবপুরে। প্রাথমিক ভাবে পরীক্ষা খারাপ হওয়ার জন্য মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ধন্দও রয়েছে। বেলদা থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে শুরু করেছে তদন্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর বেলদা কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ইতিহাস স্নাতকের ছাত্রী ছিলেন সুপর্ণা। দিন কয়েক আগে পরীক্ষা শেষ হয়েছিল। পরীক্ষা ভাল হয়নি বলে বাড়িতে জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। তারপরই পরিজনেরা তাঁর বিয়ের তোড়জোড় শুরু করেছিলেন। কিন্তু সুপর্ণা সাফ জানিয়ে দেন, এখনই বিয়ে করতে চান না। বরং নার্সিং পড়তে চাওয়ার ইচ্ছের কথা ওই ছাত্রী জানান বাবা সুধীর দাসকে। সেই মতো গত শুক্রবার কাঁথির একটি নার্সিং ট্রেনিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন সুপর্ণা। তারপর শনিবার রাতে এই ঘটনা।
সুপর্ণার দাদা মানিক দাস বলেন, ‘‘নার্সিং ট্রেনিং কলেজে ভর্তির পর থেকে বোন মনমরা ছিল। শনিবার রাতে খেয়ে ঘুমোতে গিয়েছিল। কেন যে হঠাৎ আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না।’’