ভারী বৃষ্টিতে প্রাণ গেল ২ জনের

পুলিশ জানিয়েছে, বীরভূমের বক্রেশ্বর নদীতে বন্যা দেখতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাঁইথিয়ার কুরুমসাহার বাসিন্দা, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অর্ণব চট্টোপাধ্যায়ের। দ্বিতীয় প্রাণহানি ঘটেছে বীরভূমেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৪:২৩
Share:

কিছুদিন আগেই নিকাশি নালা হয়েছে। তবুও বৃষ্টিতে ভাসল মেদিনীপুরের কেশপুর বাজার। ছবি: কিংশুক আইচ

এক রাতের টানা বৃষ্টিতে কোথাও একাধিক গ্রাম জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে, কোথাও বা রাস্তা ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বীরভূম ও দুই মেদিনীপুরের বেশ কিছু এলাকার জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত। সেখানে ত্রাণ পাঠানোর মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি না হলেও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেচ দফতর ইতিমধ্যেই কন্ট্রোল রুম খুলেছে। কর্মী ও অফিসারদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে।

Advertisement

এরই মধ্যে নদীর ভরা জলে প্রাণ গিয়েছে দু’জনের। পুলিশ জানিয়েছে, বীরভূমের বক্রেশ্বর নদীতে বন্যা দেখতে গিয়ে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে সাঁইথিয়ার কুরুমসাহার বাসিন্দা, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অর্ণব চট্টোপাধ্যায়ের। দ্বিতীয় প্রাণহানি ঘটেছে বীরভূমেই। লাভপুরে বহুরূপী সেজে ঘুরে সামান্য কিছু উপার্জন করে বাড়ি ফেরার পথে কুয়ে নদীর জলে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাব্দী বাজিকর নাম এক তরুণীর। সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃষ্টির জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি ও শঙ্করপুরের সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। যে সব ট্রলার ইলিশ ধরতে সমুদ্রে গিয়েছে তাদেরও ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা তৈরি হওয়ায় শুক্রবার রাত থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর ফলে জলাধারগুলিতে জলচাপ বাড়ছে। ডিভিসি সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধে পর্যন্ত পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছ’হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। রাতের দিকে আরও ১২ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কথা। তবে মাইথন থেকে এখনও কোনও জল ছাড়া হয়নি। আরও ভারী বৃষ্টি হলে যাতে বেশি জল ধরে রাখা যায় তার জন্যই এখন অল্প করে জল ছাড়ছে ডিভিসি। ডিভিসি-র খরব, সব জলাধারেই জল বিপদসীমার নীচে রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার বলেন, ‘‘জল ছাড়ার আগে যেন রাজ্যকে জানানো হয়, ডিভিসিকে ওই অনুরোধ করা হয়েছে।’’ তবে এ ব্যাপারে সরকারের অভিজ্ঞতা তিক্ত বলে জানান রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্য কর্তা। তাঁর বক্তব্য, শুক্রবার তিলপাড়া থেকে ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার ফলেই বীরভূমের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেচমন্ত্রী জানান, সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। শুক্রবার থেকে পুরুলিয়া, বাঁকু়ড়া, বীরভূম ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও ১৮০ থেকে ২০০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। তবে নদীর জল বিপদসীমা পেরোয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন