জিভে-জল: স্টলে ভিড় ভোজনরসিকদের। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টিও হার মানল ইলিশের গন্ধের কাছে!
রবিবাসরীয় বিকেল পাঁচটায় ইলিশ উৎসব উদ্বোধনের কথা ছিল। মেদিনীপুরে তখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। উদ্যোক্তাদের কপালে ভাঁজ। তবে বৃষ্টি ভিজেই ভিড় জমতে শুরু করল। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই স্টলে হাজির ইলিশপ্রেমীরা। শুরু নানা পদ কিনে খাওয়াও। সন্ধে সাড়ে ছ’টায় যখন উদ্বোধন হচ্ছে, তখন স্টল মালিকদের মুখে চওড়া হাসি। মেদিনীপুরে ইলিশ উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা স্নেহাশিস ভৌমিক বলছিলেন, “এতটা সাড়া মিলবে ভাবিনি। সামনের বছর আরও বড় করে ইলিশ উৎসব করা হবে।”
উৎসবে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলার সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, সহ-সভাধিপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, আশিস চক্রবর্তী। তাঁরাও বিভিন্ন স্টল ঘুরে ইলিশের নানা পদ চেখে দেখেন। ভোজন রসিকদের সঙ্গে কথাও বলেন। উত্তরাদেবী বলছিলেন, “মাছপ্রিয় বাঙালির কাছে ইলিশের কদরই আলাদা। তাই ইলিশ উৎসবে ভিড় তো হবেই।” মৃগেনবাবুর কথায়, “ইলিশের নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে মেলা ভার।” আশিসবাবু বলেন, “ইলিশ দিয়ে কত রকমারি পদ যে হয়, এখানে এসে দেখলাম।”
ইলিশ ভাজা থেকে ভাপা, সর্ষে থেকে পাতুড়ি। ইলিশের ঝোল, টক, দই ইলিশ, এমনকী বিরিয়ানিও মিলেছে এই উৎসবে। এ বছর ইলিশের জোগানও প্রচুর। ফলে, দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। সব দিক দেখেই মেদিনীপুরে ইলিশ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সপ্তাহ খানেক ধরেই চলছিল উৎসবের তোড়জোড়। মেদিনীপুরে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহরের বেশ কিছু রেস্তোঁরা এ দিন স্টল দিয়েছিল। কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগেও স্টল দিয়েছিলেন। একটি স্টলের মালিক সঞ্জু দাস বলছিলেন, “সবাই চেটেপুটে খেয়েছেন। বিক্রিও ভাল হয়েছে।”
ইলিশের স্বাদ নিতে হাজির কলেজ পড়ুয়া অর্পণ চৌধুরী, অঙ্কিতা দাসরা বলেন, “সর্ষে ইলিশ, ভাপা ইলিশ খেয়েছি। সত্যিই চমৎকার।’’ জেলা পরিষদের সহ- সভাধিপতি অজিতবাবু এসেছিলেন সপরিবার। তিনিও বলেন, “এই উৎসবে না এলে একটা আক্ষেপ থেকে যেত।”