উদ্বোধন: প্রকাশিত হল ‘উত্তরণের পথে’। ছবি: দেবরাজ ঘোষ
লক্ষ্য সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে মডেল হাসপাতাল হওয়া। আর সে জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির তরফে প্রকাশ করা হল হাসপাতালের তথ্য পুস্তিকা ‘উত্তরণের পথে’।
১৯২২ সালে ঝাড়গ্রামকে মহকুমা ঘোষণার পরে ১৯২৪ সালে রাজপরিবার প্রয়াত রাজা চণ্ডীচরণ মল্লদেবের স্মৃতিতে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় নির্মাণ করেন। বর্তমান হাসপাতালের পুরনো ভবনটি তৈরি হয় ১৯৫৬ সালে। তখন থেকেই এটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হিসেবে কাজ শুরু করে। ২০১২ সালে এটি তকমা পায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের। ২০১৬ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে বিনামূল্যে বহুমূল্য পরিষেবা ও তার উপায় লোকজনকে জানাতেই প্রকাশ করা হল ‘উত্তরণের পথে’।
সোমবার ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পাঁচ তলায় এক অনুষ্ঠানে পত্রিকার উদ্বোধন করেন মহকুমা শাসক নকুল চন্দ্র মাহাতো। নামটিও তাঁরই দেওয়া। অনুষ্ঠানে ছিলেন বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, সিএমওএইচ অশ্বিনী মাঝি, পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেব, সুপার মলয় আদক প্রমুখ। হাসপাতাল সুপার মলয় আদক বলেন, ‘‘এই বই প্রকাশের কারণ হাসপাতালের যাবতীয় পরিষেবা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা।’’ তিনি জানান, হাসপাতালে বিনামূল্যে সিটি স্ক্যান, ডায়লিসিস, এন্ড্রোস্কোপি, ইউএসজি করা হয়। কিন্তু সবাই সেটা জানেন না। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার রোগী বহির্বিভাগে আসেন। গড়ে ৪০০ জন ভর্তি হন । সবাই যাতে এই হাসপাতালের বিনামূল্য পরিষেবার কথা জানতে পারেন তাই এই বই।
রোগী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সম্পাদক প্রসূন ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের জেলায় প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ লোকের বাস। কাছেই রয়েছে জাতীয় সড়ক। হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। তাই আমাদের এখানে একটা ট্রমা সেন্টার, ক্যাথল্যাব, এমআরআই ও থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার দরকার। আমাদের আশা অদূর ভবিষ্যতে এই হাসপাতাল মডেল হাসপাতাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।’’