শম্ভু মুর্মু। নিজস্ব চিত্র
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের। স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করল এক যুবককে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ালতোড়ের জগারডাঙা অঞ্চলের ললিতপুর গ্রামে।
সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরকীয়া অপরাধ নয়। এরই মধ্যে একটি খুনের ঘটনার নেপথ্যে উঠে এল সেই সম্পর্কের কথাই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রানি মুর্মুকে (৩০) শনিবার রাতে নিজের ঘরে এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলে ওই যুবতীর স্বামী শম্ভু। অভিযোগ, রাতেই স্ত্রীকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে সে। নাকে, মুখে, হাতে, পায়ে আঘাত লেগে গুরুতর জখম হন রানি। সেই অবস্থাতে রাতেই বাঁচার তাগিদে পালানোর চেষ্টা করলে স্বামী তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরদিন, রবিবার সকালে জখম স্ত্রীর চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে শম্ভু ঘর থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বেলা গড়াতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হওয়ায় ভিড় জমে ঘরের সামনে। সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে এসে শম্ভু দেখে স্ত্রী মারা গিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শম্ভুকে। তাকে সোমবার গড়বেতা আদালতে তোলা হয়।
অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তার বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা বলে জানা যাচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
জেরায় পুলিশের কাছে শম্ভু স্বীকার করেছে, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীকে অসংলগ্ন অবস্থায় দেখে সে মারধর করেছে। শম্ভু ও রানির বছর দশেকের একটি ছেলে ও বছর আটেকের একটি মেয়ে আছে। চাষযোগ্য সামান্য জমি থাকলেও মজুরের কাজ করেই কোনওরকমে সংসার চলত শম্ভুদের। দাদা-বৌদি থাকেন অন্যত্র। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে রানির সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে শম্ভু ও রানির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শনিবার রাতে তা চরম আকার ধারণ করে।