পঞ্চায়েতে পরিচয়পত্র

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি এবং পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধানেরা এ বার পরিচয়পত্র পাবেন।

Advertisement

অভিজিৎ চক্রবর্তী

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি এবং পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ-প্রধানেরা এ বার পরিচয়পত্র পাবেন।

Advertisement

এতদিন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ওই স্তরের জনপ্রতিনিধিদের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে জেলার সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানদের হাতে ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, “পরিচয়পত্র না থাকায় জন প্রতিনিধিদের নানা অসুবিধা হচ্ছিল। সরকারি বৈঠকে বা প্রশিক্ষণে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিতে হতো। পরিচয়পত্র থাকলে কাজ অনেকেটাই সহজ হয়ে যায়।” পশ্চিমে ২১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ২১টি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোথাও সভাপতি-প্রধানদের নিজস্ব কোনও পরিচয়পত্র ছিল না। ভোটে জয়ী হলে অবশ্য তাঁরা সার্টিফিকেট পান। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের অবশ্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পরিচয়পত্র দেওয়া হতো।

পঞ্চায়েত স্তরের জন প্রতিনিধিদের প্রায়ই সরকারি বৈঠকে যেতে হয়। উন্নয়ন সংক্রান্ত বৈঠকও হয় ব্লকে ব্লকে। মহকুমা এবং জেলার সদরেও বিভিন্ন সময় আলোচনার জন্য তাঁদের ডাকা হয়। এ ছাড়া পঞ্চায়েত ব্যবস্থা সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানাতে প্রশিক্ষণ হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতে উন্নয়ন পরিকল্পনা, পরিকাঠামো ও সঞ্চালক ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ একাধিক প্রশিক্ষণ হয়। ওই প্রশিক্ষণগুলিতে গোটা রাজ্যের পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। এর পাশাপাশি বুথে বুথে এবং পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের সঙ্গে উন্নয়ন সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নিতে হয় জনপ্রতিনিধিদের। কিন্তু তাঁদের পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় জাতীয় অথবা রাজ্য সড়কে টোল ট্যাক্স দিয়ে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে তাঁদের যাতায়াত করতে হত। অথচ অন্য জনপ্রতিনিধিদের পরিচয়পত্র থাকায় তাঁরা ওই সুবিধে পেতেন। পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে জনপ্রতিনিধিদের অন্য আক্ষেপও ছিল। কেউ কেউ মনে করিয়ে দিয়েছেন, সরকারি বৈঠকে অন্য সকলের গলাতেই পরিচয়পত্র থাকে। তাঁদের আলাদা করে চেনাতে হয় না। কিন্তু পরিচয়পত্র না থাকায় বহু ক্ষেত্রে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় ওই দুই স্তরের জনপ্রতিনিধিদের।

Advertisement

জেলা শাসক বলেন, “অনেকের হাতেই ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। যদি সামান্য কিছু অংশের বাকি থাকে তাঁরা সংশ্লিষ্ট ব্লক অফিস এলেই পেয়ে যাবেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন