saraswati puja

প্লাস্টিকমুক্ত করে নিরঞ্জন, দূষণ রুখতে তৎপর সাফাই কর্মীরা

দুর্গাপুজার মতো বড় পুজোর ক্ষেত্রে নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে সক্রিয় থাকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পুরসভার তরফে ক্যাম্প করে  ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩০
Share:

বিসর্জনে আসা প্রতিমার থেকে ফুল ও অন্যান্য সামগ্রী আলাদা করা হচ্ছে।

পুরসভার তরফে ছিল না কোনও পূর্ব ঘোষনণা। কিন্তু নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচালেন সাফাই কর্মীরা। বুধবার সরস্বতী প্রতিমার বিসর্জন ঘিরে শিল্পশহরের মানুষের প্রশংসা পেলেন সাফাই কর্মীরা।

Advertisement

দুর্গাপুজার মতো বড় পুজোর ক্ষেত্রে নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে সক্রিয় থাকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পুরসভার তরফে ক্যাম্প করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এদিন হলদিয়া টাউনশিপ এলাকা ও তার আশপাশের প্রচুর পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হলদি নদীর ধারে কৃষ্ণার্জুন ঘাটে । সেখানেই হাজির ছিলেন সাফাই কর্মীরা। আনন্দধারা হাউসিং কমপ্লেক্সের সম্পাদক অসীম শঙ্কর মাইতি জানান, প্রতিমা নিরঞ্জন করতে এসে ভাল অভিজ্ঞতা হল। সাফাই কর্মীরা নিজেরাই একদিকে প্লাস্টিক ও অন্যদিকে পচনশীল ফুল, পাতা আলাদা করে নিলেন। একই অভিজ্ঞতা সেক্টর এগারোর জয়দেব পালের। তাঁর কথায়, ‘‘পুরসবার তরফে এ নিয়ে কোনও ঘোষণা ছিল না। তারপরেও সাফাই কর্মীদের এমন উদ্যোগে আমরাও সহযোগিতা করেছি।’’

এমন উদ্যোগ নিয়ে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাফাই সুপারভাইজার অলোক চন্দ বলেন, ‘‘সরস্বতী পুজোর দিন কয়েক হাজার মানুষ হলদি নদীর তীরে মেরিন ড্রাইভে এসেছিলেন। বুধবার সকালে দশ গাড়ি প্লাস্টিক তুলেছি মেরিন ড্রাইভ থেকে। তখনই সিদ্ধান্ত নিই, বিসর্জনে আসা প্রতিমার সঙ্গে থাকা প্লাস্টিক ফুলের মালা-সহ অন্যান্য দ্রব্য নদীতে ফেলতে দেওয়া হবে না, তার আগেই সে সব আলাদা করা হবে। তাই সবাই মিলেই নদীকে পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টায় সামিল হয়েছি।’’ এ দিন সাফাই কর্মী কবিতা মিত্র, লক্ষ্মী মাইতি, সুধাংশু প্রামাণিক, শঙ্কর মিশ্র বলেন, ‘‘বিসর্জনের পর নদী থেকে কাঠামো তোলা হবে। নদীকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে যে ভাবে সবাই সহযোগিতা করছেন সেটা ভাল।’’

Advertisement

হলদিয়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রামাণিক সাফাই বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এ বার আমরা ওদের কোনও নির্দেশ দিইনি। তার পরেও যে সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন ওঁরা তা নজিরবিহীন সাফাই কর্মীদের এই দায়িত্ববোধ শিক্ষণীয়।’’

পূর্বের বিজ্ঞানমঞ্চের জেলা কমিটির সদস্য সাহেব আলি খান বলেন, ‘‘এদিন নদীর তীরে গিয়ে চারপাশ ঝকঝকে ও পরিচ্ছ্ন্ন দেখে অবাক হয়েছি। সাফাই কর্মীরা আজ যে দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন তা প্রশংনীয়।’’ বিসর্জন দেখতে আসা মধুরা রায় বলেন, ‘‘নদী ও নদীর পাড় পরিষ্কার রাখার এই প্রয়াস দেখে খুব ভাল লেগেছে। নিয়মের মধ্যে সব কিছু করলে বিশৃঙ্খলা আটকানো যায়। এই সাফাই কর্মীরা চোখ খুলে দিলেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন