শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ‘গড়’ বলে পরিচিত কাঁথি মহকুমায় তাঁর দল বিজেপিকে কার্যত শূন্য করে সমবায়ের ভোটে একচ্ছত্র দাপট দেখাল তৃণমূল। সেপ্টেম্বরে ‘ডেলিগেট’ নির্বাচনের পরে এ বার পেটুয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির ভোটেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন শাসকদলের সমর্থিত প্রার্থীরা। শুভেন্দুর নিজের এলাকাতেই বিজেপির ‘নিষ্ক্রিয়তায়’ পদ্মশিবিরের সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠল। যদিও এই ফলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিরোধী দল।
গত সেপ্টেম্বরে সমবায় সমিতির ‘ডেলিগেট’ বা প্রতিনিধি নির্বাচনে মোট ৫২টি আসনের মধ্যে ৪৮টিতেই জয়ী হন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। ওই বিপুল জয়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, পরিচালন সমিতির রাশ কাদের হাতে যেতে চলেছে। পরের ধাপে পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য সোমবার ছিল মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। শাসকদলের প্রার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বিজেপি-সহ অন্য কোনও বিরোধী দল একটিও মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
মঙ্গলবার নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঘোষণা করা হয়, ওই নির্বাচনে তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে, তৃণমূল সমর্থিত সকল প্রার্থীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন। জয়ের খবর পেতেই সবুজ আবির ওড়ে কাঁথিতে। উল্লাসে ফেটে পড়েন তৃণমূলকর্মী এবং সমর্থকেরা।
যে এলাকাকে শুভেন্দু তথা অধিকারী পরিবারের ‘রাজনৈতিক গড়’ বলেন অনেকে, সেখানে সমবায়ের ভোটে বিজেপির এই নিরঙ্কুশ অনুপস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত শাসকদলের এই একতরফা বিজয়ে বিজেপি বা বিরোধী দলনেতা কোনও তরফেই সরকারি ভাবে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অন্য দিকে, তৃণমূলের এই জয়ে বিজয়ী প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশপ্রাণ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস ভুঁইয়া, ব্লক শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অজয় সাউ এবং দারিয়াপুর অঞ্চল সভাপতি দীপক গিরি। তাঁরা এই জয়কে সাধারণ মানুষের আস্থা এবং সমর্থনের ফল হিসাবে দেখছেন।