টাকার গেরোয় বিমা আধিকারিক

নিজের বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নিজেরই অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজারের চেক জমা করেছিলেন জীবনবিমা আধিকারিক দেবনারায়ণ রায়। দিন পনেরো পরে পাশবই ‘আপডেট’ করে তিনি দেখেছিলেন ৩৫ হাজার টাকা জমা পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৩৬
Share:

দেবনারায়ণ রায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজের বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে নিজেরই অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজারের চেক জমা করেছিলেন জীবনবিমা আধিকারিক দেবনারায়ণ রায়। দিন পনেরো পরে পাশবই ‘আপডেট’ করে তিনি দেখেছিলেন ৩৫ হাজার টাকা জমা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেক জমা করেছিলেন, তার পাশবই ‘আপডেট’ করতেই তো চক্ষু চড়কগাছ— সেখান থেকে তো টাকা কমেনি! তাহলে ৩৫ হাজার টাকা এল কোত্থেকে?

Advertisement

আপাতত এই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজছেন খড়্গপুর শহরের সাঁজোয়ালের বাসিন্দা দেবনারায়ণবাবু। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তাই আশঙ্কা বেড়েছে ৫৫বছর বয়সী এই জীবনবিমা আধিকারিকের। দেবনারায়ণবাবুর কথায়, “বেসরকারি-সরকারি কোনও ব্যাঙ্কই সদুত্তর দিতে পারছে না। আমার ধারণা, কারও কালো টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।”

শহরের পুরাতনবাজারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় নিজের ও স্ত্রীর নামে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে দেবনারায়ণবাবুর। আবার মালঞ্চয় এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁর একার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের ৩৫ হাজার টাকার চেক তিনি সরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে জমা দেন। এরপর দিন পনেরো সরকারি ব্যাঙ্কের ওই শাখায় ঘোরাঘুরির পরেও দেখেন, চেকের টাকা জমা পড়েনি। তবে দিন কয়েক আগে ব্যাঙ্কে গিয়ে পাশবই ‘আপডেট’ করে দেবনারায়ণবাবু জানতে পারেন, গত ২ ডিসেম্বর তাঁর অ্যাকাউন্টে ৩৫ হাজার টাকা জমা পড়েছে। তিনি ভেবেছিলেন, ওই চেকের টাকাই জমা পড়েছে। কিন্তু ২৮ডিসেম্বর ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের পাশবই ‘আপডেট’ করে দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৫ হাজার টাকা কাটাই হয়নি।

Advertisement

মালঞ্চর ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার প্রতীক বসু অবশ্য বলেন, “আমি ওঁর অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখেছি, ৩৫ হাজার টাকা ওঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আমরা কাটিনি। আর আমাদের কাছে এই চেকও আসেনি। অনেক সময় ‘চেক ট্রানকেশন’ ব্যবস্থায় আমাদের কাছে চেক না-ও আসতে পারে। কিন্তু অ্যাকাউন্ট থেকে তো টাকা কাটা হবেই।” আর সংশ্লিষ্ট সরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার শ্রীনিবাস বেহেরার বক্তব্য, “আমাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তারপর বলতে পারব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন