তৃণমূল সমর্থক এক পরিবারকে তাঁদের জমিতে চাষ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলেরই সমর্থকদের একাংশের বিরুদ্ধে। এগরা থানার কেউটগেড়্যা গ্রামের ঘটনা। যদিও এগরা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অলোক মহাপাত্র বলেছেন,‘‘এটি একটি গ্রামীণ ও পারিবারিক ঝামেলা। অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত দু’তরফই তৃণমূল সমর্থক। কিন্তু এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।’’ এগরা থানার পুলিশ অবশ্য তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দ বর ৩১ জুলাই এগরা থানায় অভিযোগ করেন পাশের গ্রাম রাজেন্দ্রচকে তাঁর ৬৭ ডেসিমেল জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে চাষাবাদ করেন তিনি। কিন্তু এ বছর ওই গ্রামের বাসিন্দা বিভূতি বর, নির্মল বর ও মানিক বর তাঁকে চাষ করতে বাধা দিচ্ছেন। অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি চাষ করতে গেলে জমিতে পাওয়ার টিলার নামাতে বাধা দেয় এবং আমাকে নানাভাবে হুমকিও দেওয়া হয়। তৃণমূল করি, কিন্তু দলবাজির শিকার আমি।’’ এ বিষয়ে পুলিশের পাশাপাশি দলেরকাছে সাহায্য চেয়েছেন অরবিন্দবাবু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিভূতি বর, নির্মল বরেরা অলোক মহাপাত্রের অনুগামী। অন্য দিকে অরবিন্দবাবু তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোক, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রঞ্জন দে-র অনুগামী। তৃণমূলের স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অরবিন্দবাবু নিজেকে তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে দাবি করলেও এ বার বিধানসভা ভোটের সময় বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছিলেন। এ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ হন। তার জেরেই এই গোলমাল।
ধৃত ৩। টিউশন সেরে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলবার দুই নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ক্যানিঙের শরৎপল্লি থেকে। নাম যুধিষ্ঠির নস্কর, সঞ্জয় নন্দী, ও শ্যাম দাস। সকলেই স্থানীয়।