তছরুপের নালিশ, তদন্ত শুরু বিডিও-র

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজে এজেন্সি থেকে সরঞ্জাম কেনা ও নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরি বাবদ এখন সরাসরি ‘ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডার’-এ টাকা দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই টাকা জমা পড়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৭ ০০:৩৬
Share:

বেহাল: ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে দাঁতন শহরে যাওয়ার রাস্তার দু’পাশ বসে গিয়েছে। গাড়ি চালাতে সমস্যা। নিজস্ব চিত্র

গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামলেন বিডিও। সম্প্রতি দাঁতনের তরুরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক সুদীপ সাহা একশো দিনের কাজের টাকা তছরুপ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। গত সপ্তাহে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপ প্রধান বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান। এর পরেই সোমবার ঘটনার তদন্তে পঞ্চায়েত অফিসে আসেন বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

Advertisement

পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, একশো দিনের কাজে এজেন্সি থেকে সরঞ্জাম কেনা ও নিযুক্ত শ্রমিকদের মজুরি বাবদ এখন সরাসরি ‘ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডার’-এ টাকা দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই টাকা জমা পড়ে যায়। সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পে প্রায় ৯ ০লক্ষ টাকা এসেছে। ওই টাকার মধ্যে প্রায় ৭৪ লক্ষ টাকার হিসেব পাওয়া যায়। যদিও বাকি টাকার হিসেব পাওয়া যাচ্ছিল না বলে অভিযোগ।

পরে দেখা যায়, ছায়া সাহা নামে এক মহিলার নামে থাকা এজেন্সিতে বাকি টাকা জমা পড়েছে। ওই এজেন্সির নামে ২০১৫ সাল থেকে পরপর তিনটি অর্থবর্ষে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কের মায়ের নাম ছায়া সাহা। অভিযোগ, নির্বাহী সহায়ক নিজের মায়ের নামে এজেন্সি খুলে ‘ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডার’-এ টাকা পাঠিয়েছেন। এরপরেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়।

Advertisement

পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান প্রতুল দাসের অভিযোগ, “নিজের মায়ের নামে এজেন্সি খুলে একশো দিনের কাজের টাকা তছরুপ করেছেন নির্বাহী সহায়ক। প্রমাণ-সহ বিডিও-র কাছে আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি।”

সোমবার বেশ কিছুক্ষণ ওই নির্বাহী সহায়ককে জেরা করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের আর্থিক লেনদেনের সমস্ত কাগজপত্রও। গ্রামবাসীদের একাংশ ওই নির্বাহী সহায়ককে গ্রেফতারের দাবিও তোলেন। বিডিও অনিরুদ্ধবাবু বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই একটি তদন্ত কমিটি গড়েছি। কমিটি তদন্ত করবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement