রাজ্যে বাড়ন্ত, জামাই বরণে ওড়িশার ইলিশ

দিঘার মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ওড়িশার ধামরা, কশাফলি ও বলরামগড়ি এলাকা থেকে এই ইলিশ এসেছে। ওড়িশার মৎস্যজীবীরা কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না বলে এ রাজ্যের মৎস্যজীবীদের অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ১৩:০০
Share:

রুপোলি: পূর্ব মেদিনীপুরের একটি বাজারে বুধবার। নিজস্ব চিত্র

বঙ্গের নয়, জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ি ও জামাইদের মুখে হাসি ফোটাল ওড়িশার ইলিশ।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতো দেশের উপকূলে এখন মৎস্য শিকার নিষিদ্ধ। ১৫ এপিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এই সময়সীমা মেনে চলতে হবে মৎস্যজীবীদের। কিন্তু বুধবার কাঁথি ও এগরা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু বাজারে দেখা মিলল ইলিশের। যদিও তা পরিমাণে কম এবং দামে চড়া। এ দিন কাঁথি ও এগরার কয়েকটি বাজারে এক কেজি বা তার বেশি ওজনের ইলিশ ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হয়েছে। এ নিয়ে দিঘার মৎষ্যজীবীরা ক্ষোভ প্রকাশ করলেও জামাই আপ্যায়নে অবশ্য তা বাধা হয়নি।

রাজ্যে এই সময় ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কী ভাবে তা বাজারে পৌঁছে গেল?

Advertisement

দিঘার মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত ওড়িশার ধামরা, কশাফলি ও বলরামগড়ি এলাকা থেকে এই ইলিশ এসেছে। ওড়িশার মৎস্যজীবীরা কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না বলে এ রাজ্যের মৎস্যজীবীদের অভিযোগ। দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘ওড়িশার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরা নিয়ে কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা মানছেন না। এর ফলে এখানকার মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এখানে ইলিশ না ধরলেও ওড়িশায় ধরা ইলিশ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।’’

দিঘার মৎস্যজীবী রতন মান্নার কথায়, ‘‘এই সময় ইলিশ ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের প্রজননকাল। তাই মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ রাজ্যের মৎস্যজীবীরা মানলেও পাশের রাজ্য ওড়িশার মৎস্যজীবীরা মা তা না মানলে ক্ষতি হবে।’’

ন্যাশনাল ফিশ ওয়ার্কার্স ফোরামের সম্পাদক দেবাশিস শ্যামল বলেন, “সামনে বর্ষা। ইলিশ ধরার মরসুম। তার আগে এভাবে ইলিশ শিকার আশঙ্কার। যে উদ্দেশ্য নিয়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বহাল হয়েছে এর ফলে তা বেকার হয়ে যাবে। আমরা সাংগঠনিক ভাবে এর বিরুদ্ধে ওড়িশা সরকারের কাছে চিঠি লিখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন