প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পরেই নড়েচড়ে বসল দলীয় সংগঠন। তড়িঘড়ি পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন ডেকে জঙ্গলমহলে জনসংযোগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল।
রাজনৈতির মহলের মতে, পঞ্চায়েত ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করেই এই দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি। শনিবার অরণ্যশহরের রবীন্দ্রপার্কে আয়োজিত সম্মেলনে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অজিত মাইতি জানান, পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দিয়ে কাছে টানতেই হবে। জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। আর বিজেপি নাম না করে অজিতবাবুর কটাক্ষ, “দু’চারটে সভা করে লোকজনকে উস্কানি দিয়ে যাঁরা ভাবছেন আমাদের জনবিচ্ছিন্ন করবেন, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন।”
গত কয়েক মাস ধরে বদলাচ্ছে জঙ্গলমহলের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আদিবাসীদের একটি অংশ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্য প্রশাসন ও শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের জনসংযোগের অভাবকেই দুষছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের আধিকারিক ও দলের জনপ্রতিনিধিরা আমজনতার মনের খবর রাখেন না বলে ধমকও দেন তিনি। ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোকে। আগামী ১৭ অক্টোবর জঙ্গলমহলে উন্নয়ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরার জন্য বুথে বুথে মিছিল করা হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। ২৩ অক্টোবর নয়াগ্রামে দলীয় মহামিছিল ও সমাবেশের ডাক দেন অজিতবাবু। সম্মেলেনে বিজেপি ও ‘বঙ্গ কংগ্রেস’-এর সমালোচনা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া। জনসংযোগে দলীয় কর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের বাড়ি-বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন মানসবাবুও।