ঝুমুরেই স্বাস্থ্যের ভরসা

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামে ‘মেডিকেটেড’ মশারিকে জাল বানিয়ে কেউ মাছ ধরছেন, কেউ বা ঢেকে রাখছেন বেগুন চারা। এই মশারিতে যে মশা মারার রাসায়নিক লাগানো আছে, সে বিষয়ে বার বার বুঝিয়েও সচেতন করা যায়নি গ্রামবাসীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৪
Share:

ম্যালেরিয়া আক্রান্ত গ্রামে ‘মেডিকেটেড’ মশারিকে জাল বানিয়ে কেউ মাছ ধরছেন, কেউ বা ঢেকে রাখছেন বেগুন চারা। এই মশারিতে যে মশা মারার রাসায়নিক লাগানো আছে, সে বিষয়ে বার বার বুঝিয়েও সচেতন করা যায়নি গ্রামবাসীদের।

Advertisement

এ বার তাই, গ্রামবাসীদের সচেতন করতে অন্য দাওয়াই নিয়ে এল স্বাস্থ্য দফতর। সচেতনতার প্রচারে এ বার তারা গ্রামে নিয়ে আসছেন ঝুমুর শিল্পীদের। তাঁরা গান বেঁধেছেন— ‘ওষুধ-মশারি টাঙাঞ, নিজেরাকে বাঁচাও/ মাছ ধরার জাল ন বানাও।’ স্বাস্থ্য কর্তাদের আশা ঝুমুর শিল্পীদের এই প্রচারে টনক নড়বে গ্রামের মানুষের।

ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিএমওএইচ রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “জঙ্গলমহলে ঝুমুর বিশেষ জনপ্রিয়। গানের সুরে স্বাস্থ্য দফতরের বার্তা প্রচার হবে একেবারেই সাধারণের বোধগম্য ভাষায়।” ম্যালেরিয়া প্রবণ ঝাড়গ্রাম জেলায় গত মাসে প্রায় ৪০ হাজার ‘মেডিকেটেড’ মশারি বিলি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। মশারি ব্যবহার করছেন কি-না তা আগামী ছ’মাস ধরে আশাকর্মীরা এলাকার বাড়ি-বাড়ি ঘুরে দেখবেন।

Advertisement

সিদ্ধান্ত হয়েছে, জামবনি, বেলপাহাড়ি, গোপীবল্লভপুর ও লালগড়ের মতো ম্যালেরিয়াপ্রবণ ব্লকে ট্যাবলোয় সরকারি লোকপ্রসার প্রকল্পে নথিভুক্ত ঝুমুরগানের শিল্পীরা থাকবেন। বিভিন্ন পাড়ায়, স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে সচেতনতামূলক গান করবেন তাঁরা।

তারপরও ঝাড়গ্রাম জেলায় চলতি মাসে ৬৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সরকারি সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement