Kolaghat Thermal Power Plant

পাঁচ দিনেও আতঙ্ক কাটেনি অফিসারের

গত বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরেই সিদ্ধার্থকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০৭
Share:

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আহত কর্তার সুস্থতা কামনায় তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন। নিজস্ব চিত্র

কর্মস্থলে তৃণমূল নেতার হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মানব সম্পদ দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ ঘোষের।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরেই সিদ্ধার্থকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা দিবাকর জানা এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। গত রবিবার হাসপাতাল থেকে কলকাতার সরশুনায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন সিদ্ধার্থ। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার ফোন করা হয়েছিল সিদ্ধার্থকে। তবে ফোন ধরেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ওই ঘটনার পর ও আতঙ্কিত। মানসিক ভাবেও ভেঙে পড়েছেন।’’ সিদ্ধার্থের পরিবার সূত্রের খবর, তাঁর নাকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই নাকে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা।

সিদ্ধার্থের উপরে হামলা প্রথম থেকেই পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন দিবাকরের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী নেতা তথা শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মণ। রবিবার পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে জয়দেব, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক নেতা আব্দুল মান্নান-সহ ছ’সদস্যের একটি দল সরশুনায় আক্রান্ত আধিকারিকের বাড়িতে যান। শুভেন্দু হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিয়ো কল করে সিদ্ধার্থ এবং তাঁর পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Advertisement

জয়দেব জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন সিদ্ধার্থ। খুব বেশি কথা বলছেন না। জয়দেবের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে দিবাকর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে এক হাজার লরি পরিত্যক্ত ছাই-পাথর দিয়ে এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে লাগাবে বলেছিল। কিন্তু সেই কাজ আদৌ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় জয়দেব রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরে দিবাকরের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছিলেন। ওই অভিযোগ পেয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর দিবাকরের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। বিদ্যুৎ দফতরকে ওই তদন্তের ভিজিল্যান্স রিপোর্ট দিয়েছিলেন এই সিদ্ধার্থ ঘোষই।

জয়দেব বলেন, ‘‘দিবাকরের বিরুদ্ধে যে তদন্ত শুরু হয়েছিল, তাতে সিদ্ধার্থ যে ভিজিলেন্স রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তা ছিল দিবাকরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পক্ষে। সেই আক্রোশেই মারা হয়েছে সিদ্ধার্থকে। এটি পরিকল্পিত হামলা।’’

বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। সিদ্ধার্থের সহকর্মীদের আশা, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তিনি দ্রুত কাজে যোগ দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement