বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোটের বার্তা জোরদার করতে দিন কয়েক আগে সিপিএমের জেলা অফিসে গিয়ে বৈঠক করেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জোটের প্রার্থীদের সমর্থনে জেলার যৌথভাবে প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছিল ওই বৈঠকে। এ বার ওই জোট প্রার্থীর সমর্থনে বামফ্রন্ট নেতা বিমান বসুর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য জেলা কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণ জানাল জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
আগামী ৩ এপ্রিল জেলার চণ্ডীপুর বাজার ও তমলুক শহরের রাধাবল্লভপুর ফুটবল ময়দানে কর্মিসভা করতে আসছেন রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সভায় সিপিএম-সহ বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির জেলা নেতারা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে হাজির হওয়ার জন্য জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরঞ্জনবাবুই মঙ্গলবার জেলা কংগ্রেস সভাপতি আনোয়ার আলিকে ফোন করে সভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। আনোয়ার আলি সভায় উপস্থিত থাকার বিষয়ে সম্মতিও দেন।
প্রশাসনিক ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬ টি আসনে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে একেবারে শেষ দফায় আগামী ৫ মে। জেলায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে। চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। যদিও ইতিমধ্যে প্রায় সব প্রধান রাজনৈতিক দল জেলায় তাঁদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। তৃণমূল তাঁদের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করার পাশাপাশি বিরোধী বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীরাও প্রতিটি এলাকায় প্রচার শুরু করেছে। বামফ্রন্ট কংগ্রেসের আসন সমঝোতা অনুযায়ী জেলার ময়না ও ভগবানপুর বিধানসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে। আর বাকি ১৪ টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে বামফ্রন্ট। এর মধ্যেই ৩ এপ্রিল জেলায় বিমান বসুর সভায় কংগ্রেস নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাম-কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়াকে জোরদার করার পথে একধাপ এগোল।
সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘জোট প্রার্থীদের সমর্থনে বুথস্তর থেকে জেলা পর্যন্ত যৌথভাবে প্রচার চালানোর জন্য আমাদের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিমান বসুর সভায় যোগ দেওয়ার জন্য জেলা কংগ্রেস সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। এতে জোট প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার আরও জোরদার হবে।’’ জেলা কংগ্রেস সভাপতি আনোয়ার আলি বলেন, ‘‘আমাদের দলের তরফে ওই সভায় উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছি। এতে জোটের প্রক্রিয়া আরও দৃঢ় হবে এবং সাধারণ মানুষের কাছে জোটের বার্তা যেতে সুবিধে হবে।’’