ধুন্ধুমার: বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র তমলুকে জেলাশাসকের অফিস চত্বর। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস
বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল তমলুকে জেলাশাসকের অফিস চত্বর।
বাম কর্মীদের আক্রমণের প্রতিবাদ ও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা-সহ কয়েক দফা দাবিতে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাম নেতা-কর্মীরা। অভিযোগ, ইট ছুড়ে বাম কর্মী-সমর্থকরা জেলাশাসকের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আরও বেশ কয়েকটি সরকারি ও অন্য গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশও। গোলমালের ঘটনায় সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি, সিটু-র জেলা সম্পাদক সুব্রত পণ্ডা-সহ ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার দাবিতে ১৮টি গণসংগঠনের ডাকে তমলুকে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল বামেদের। উপস্থিত ছিলেন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিপিএম নেতা রবীন দেব, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদিকা মিনতি ঘোষ।
বিক্ষোভ চলাকালীন বাম কর্মী-সমর্থকেরা জেলাশাসকের অফিস চত্বরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে বলে অভিযোগ। পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, উত্তেজিত বাম সমর্থকদের তাড়া খেয়ে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কর্মীরা প্রথমে অফিসে ঢুকে পড়েন। অভিযোগ, পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারী বাম কর্মী-সমর্থকদের হটাতে লাঠিচার্জ করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। ঘটনার জেরে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কে বন্ধ থাকে যান চলাচল।
জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘মোট ২৮টি গাড়িতে ভাঙচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। অফিসের সামনে থাকা এলইডি স্ক্রিন নষ্ট করা হয়েছে। ভাঙা হয়েছে অফিসের
জানলার কাচ।’’
জেলাশাসক জানান, গোলমালের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫০জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি সম্পত্তির হিসেব করা হচ্ছে।
ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে রবীনবাবুর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘আমাদের সভামঞ্চ থেকেই নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিক নেতা সহ একশোর বেশি কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।’’
জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘গোলমালে তমলুকের এসডিপিও তন্ময় সরকার-সহ দশ জন পুলিশ আধিকারিক-কর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে।’’