দুষ্কৃতীদের গ্যাংওয়ার হোক বা রাস্তায় গুলি করে ছিনতাই— আগেও এমন অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রেলশহর। তবে এ বার ভরদুপুরে শাসকদলের ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে ঢুকে দুষ্কৃতীদের হামলা স্তম্ভিত করছে শহরের বাসিন্দাদের। শ্রীনু নায়ডু খুনের মামলায় সরকারি আইনজীবীর কাছে হুমকি-ফোন আসার পরেই বাড়ানো হয়েছে তাঁর নিরাপত্তা। বাড়ানো হয়েছে খড়্গপুরের পুরপ্রধান প্রদীপ সরকারের নিরাপত্তাও। যদিও তাঁদের নিরাপত্তা কোথায়, সেই প্রশ্নে সরব শহরের বাসিন্দারা।
শ্রীনু খুনের পরে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ সেটলমেন্টে তৃণমূলের কার্য়ালয়, পুরপ্রধানের দলীয় কার্যালয়, বাসব রামবাবুর বাড়ির সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। যে রেল কোয়ার্টারে শ্রীনু থাকতেন, সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। একইভাবে, শহরের অন্যত্রও নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তুলছেন বাসিন্দারা। শহরের মালঞ্চর বাসিন্দা পাপিয়া সেন বলেন, “এই ঘটনার পরে শহর আরও উত্তপ্ত হয়ে গেল। আমরাও নিরাপদ নই। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত পুলিশকেই করতে হবে।” শহরের ইন্দার বাসিন্দা সোমনাথ আচার্য বলেন, “শ্রীনু নায়ডু খুনের পর মনে হচ্ছে এই শহরে আর কেউই নিরাপদ নয়। ‘বড় মাথা’ আসলে কে তা প্রকাশ্যে এলে কী হয় সেটাই দেখার।”
শ্রীনু খুনের দিনই পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তারপরই প্রদীপবাবুর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। আগামী ১৮ জানুয়ারি দিলীপবাবু শহরের ইন্দা, কৌশল্যা-সহ তিনটি এলাকায় সভা করবেন বলে কথা রয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্নিত হতে পারে জানিয়ে পুলিশ এখনও সভার অনুমতি দেয়নি। এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দিলীপদা খড়্গপুর শহরে থাকবেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবেন। পুলিশ অনুমতি না দিলে সভার জন্য প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হব।”
সোমবারও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কাছে কিছু বলতে চাননি শ্রীনুর স্ত্রী পূজা নায়ডু। পুরপ্রধান প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘পূজার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তবে পূজা চাইলে নিশ্চয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।”