লোধা-শবরদের অনেকেই কম খাদ্যশস্য পাচ্ছেন, এই অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনার দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রবিবার মেদিনীপুরের লোধা স্মৃতি ভবনে লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে জেলাশাসকের দফতর থেকে জেলা অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর আবার খাদ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছে।
লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বলাই নায়েক বলেন, “খাদ্য সুরক্ষার রেশন কার্ড এলোমেলো হওয়ার কারণেই একটা সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা জেলাশাসককে লিখিত ভাবেই জানিয়েছি। জেলা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।”
সমিতির বক্তব্য, ২০০৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জেলার পিছিয়ে পড়া জনজাতি লোধা-শবর পরিবারগুলো অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা যোজনার অন্তর্ভুক্ত হয়। ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য তারা পেতে শুরু করে। বর্তমানে খাদ্য সুরক্ষার নতুন কার্ড চালু হয়েছে। ফলে, অনেকেই আর আগের মতো ৩৫ কেজি করে খাদ্যশস্য পাচ্ছেন না। বলাইবাবু বলেন, “এখন এক-একটি পরিবার এক-এক রকম কার্ড পাচ্ছে। তাই এই সমস্যা। সকল লোধা-শবর পরিবার যাতে আগের মতো খাদ্যশস্য পায়, সেই দাবিই জানানো হয়েছে।”