প্রচারের বিরতিতে। নিজস্ব চিত্র
তিনি প্রাক্তন আইপিএস। তাঁর চলাফেরায় সেই মেজাজ এখনও স্পষ্ট। জেলার পুলিশ সুপার থাকাকালীন কালো রোদ চশমা ছিল তাঁর ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। লোকসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামার পরেও সেটি একই থেকে গিয়েছে।
যত রাতেই ঘুমোতে যান, সকাল সাড়ে ৬টায় উঠে পড়েন তিনি। তারপর নিজের হাতে বানানো গ্রিন টিয়ে চুমুক দেওয়া চাই। মাঝে মাঝে সঙ্গে থাকে বিস্কুট। প্রার্থী হয়েও সেই রুটিনে ছেদ পড়েনি।
চা পর্ব শেষ হওয়ার পরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সময় ফোনে কাটান ভারতী দেবী। তার মধ্যেই আসেন দলীয় নেতারা। শুরু হয় আলোচনা। তার ফাঁকে ফাঁকে ইংরেজি ও বাংলা খবরের কাগজে চোখ বুলিয়ে নেন তিনি। শুধু নিজের নিবার্চনী এলাকা নয়, দেশের খুঁটিনাটি সম্পর্কেও প্রতিদিন ‘আপডেট’ থাকেন প্রাক্তন এই আইপিএস।
সকাল ১০টার আশেপাশে জল-মুড়ি খেয়ে বেরিয়ে পড়েন ভারতী। সঙ্গে থাকে ওআরএস এবং জলের বোতল। দুপুরে কোনও কর্মীর বাড়িতেই চলে মধ্যাহ্নভোজ। সেখানে থাকে ভাত, ডাল, তরকারি ও মাছের কোনও পদ। থাকে ফল। দুপুরের খাবার পরে একটু বিশ্রাম নিয়েই ফের প্রচার শুরু হয়ে যায়। মাঝে মাঝেই চলে চা পান। কোনও কোনও দিন রাত পর্যন্ত প্রচার চলে। মাঝে সুযোগ মতো হালকা চা-বিস্কুট সহ হালকা কিছু খেয়ে নেন বিজেপি প্রার্থী। রাতে বাড়ি ফিরে কিছুটা। তারপর রাতের খাবার। তখন মেনুতে থাকে ভাত, তরকারি ও মাছ।
এই রুটিনের ছেদ পড়ে শনিবার। ওই দিন শনিপুজো করেন ভারতী। সময় করে যে কোনও মন্দিরে নিজেই পুজোয় বসে যান। পুরোহিতও থাকেন। ওই দিন দিনভর উপোস।
ভোটের জন্য আপাতত দাসপুরের বেলতলা ঘেঁষা রাজ্য সড়ক থেকে কিছুটা দূরে কলমিজোড় যাওয়ার রাস্তার পাশে একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। তার কিছুটা অংশেই নিবার্চনী কার্যালয়। সেখানে ব্যাক্তিগত সচিব ও দেহরক্ষীরা থাকেন। ভারতীর কথায়, “আমি বরাবরই স্বাস্থ্য সচেতন। খাওয়া নিয়ে ঝকমারি নেই। সব মিলিয়ে দিব্যি আছি। প্রচার উপভোগ করছি।”