শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায় ( বাঁ দিকে) ও বিপ্লব ভট্ট। নিজস্ব চিত্র
দুপুরে ভাত, রাতে রুটি। দল আলাদা হলেও দু’জনেরই পছন্দ ছিমছাম খাবার। দু’জনেই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। একজন সিপিআইয়ের বিপ্লব ভট্ট, আরেকজন কংগ্রেসের শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের। বিপ্লব বলছিলেন, ‘‘খাবার নিয়ে ওত বাছবিচার নেই। হালকা খাবারই ভাল লাগে।’’ শম্ভুনাথের কথায়, ‘‘যা পাই, তাই- ই খাই। এটা-ওটা ভাবি না।’’
ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। তাই সকাল থেকে শুরু হয়ে সারা দিন ধরেই প্রচার চলছে। শেষ হচ্ছে সেই রাতে। কখনও কর্মিসভা, কখনও পদযাত্রা, তো কখনও জনসভা। এরমধ্যেই চলছে বাড়ি বাড়ি প্রচার। এরমধ্যেই ভোটের ময়দান চষে বেড়ানো রসদ খুঁজে নিচ্ছেন দু’জনে। কী ভাবে?
সিপিআই প্রার্থী বিপ্লব সকালে বেরোনোর আগে এক গ্লাস মৌরি ভেজানো জল খান। খানিক পরে আরেক গ্লাস ছাতুর সরবত খেয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। দিনে বেশ কয়েক কাপ লাল চা (লিকার) খাওয়া হয়ে যায়। দুপুরের খাবার কর্মীদের সঙ্গেই। পাতে থাকে ভাত, ডাল, তরকারি ও মাছ। মাছের কী পছন্দ? বিপ্লব বলছিলেন, ‘‘কখনও মাছের ঝোল, কখনও মাছের টক, সবই চলে।’’ প্রচারের সময়ে সবসময়ের সঙ্গী গ্লুকোজ ও ওআরএস। মাঝে মাঝে খান ডাবের জল। সিপিআই প্রার্থীর কথায়, ‘‘এই গরমে শরীরটাও তো ঠিক রাখতে হবে। লাল চা খাই। তবে কম চিনি দেওয়া।’’ বাড়ি ফিরে দুটো রুটি ও তরকারি। মাঝেমধ্যে পাতে থাকে আলু ভাজা।
কংগ্রেস প্রার্থী শম্ভু সকালে চা- বিস্কুট খান। শম্ভুর কথায়, ‘‘সকালে আমার লাল চা ও দু’টো বিস্কুট চাই। পরে মুড়ি-তেলেভাজা অথবা পেটাই পরোটা-ঘুগনি। কংগ্রেস প্রার্থীর কথায়, ‘‘যখন যেটা পাই তখন সেটা খাই। মুড়িও ভাল লাগে, পেটাই পরোটাও ভাল লাগে।’’ শম্ভুও দুপুরে কর্মীদের সঙ্গে বসেই খেয়ে নেন। পাতে থাকে ডাল, ভাত, তরকারি, মাছ। দিনে ক’কাপ চা খাওয়া হয়? হেসে শম্ভু বলছিলেন, ‘‘চায়ের কথা জিজ্ঞেস করতে নেই!’’ বাড়ি ফেরার পরে রাতেও মোটের উপর এক মেনু। তিনটে রুটি, তরকারি, আর মিষ্টি। কংগ্রেস প্রার্থীর কথায়, ‘‘মিষ্টি না থাকলে ভাল লাগে না।’’ শম্ভু অবশ্য সঙ্গে জলের বোতল রাখেন না। তেষ্টা পেলে কারও কাছে জল চেয়ে খেয়ে নেন। তবে সানগ্লাস থাকে।
দুই প্রার্থীই মানছেন যে, ভোটপ্রচারে বেরিয়ে দুপুরে কর্মীদের সঙ্গে পাত পেড়ে খেতে বসার আনন্দটাই আলাদা।’’ মেদিনীপুরের যুযুধান এই দুই প্রার্থীই বলছেন, ‘‘খাওয়াদাওয়াটা ভীষণ হালকা রাখি। এটাই ভাল লাগে।’’