প্রতীকী চিত্র।
মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের জন্য মহিলা ভোটকর্মী খুঁজতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা নির্বাচন দফতর। প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হলেও অনেকে আসেননি। তাঁদের শো-কজ করে ফের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। কতজন আসবেন তা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। প্রশিক্ষণে না এলে এবার কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এ বার ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত ৫টি বুথ হচ্ছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় ওই বুথ হচ্ছে না। খোদ ঝাড়গ্রাম জেলা শহরে ওই ৫টি বুথ হবে। প্রতিটি বুথের জন্য চারজন ভোটকর্মী প্রয়োজন। পাঁচটি বুথের জন্য প্রয়োজন ২০ জন ভোটকর্মী। ঝাড়গ্রাম শহরে বাড়ি এমন বিভিন্ন স্কুলের ৪০ জন শিক্ষিকাকে গত ১১ এপ্রিল ভোটকর্মীর প্রশিক্ষণে ডাকা হয়েছিল। হাজির হয়েছিলেন ২৭ জন। ১৩ জন আসেননি। ওই ১৩ জনকে শো-কজ করে ফের তাঁদের আগামী ১৮ এপ্রিল প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। যে ২৭ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আবার ভোটের কাজে না যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা নির্বাচন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বিশেষ কয়েকটি মহল থেকে কয়েকজনের ভোটারের ডিউটি কাটানোর অনুরোধ এসেছে। কিন্তু হাতে মহিলা ভোট কর্মীর সংখ্যা এতই কম যে আমরা কাউকেই এখনও অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি।’’ সূত্রের খবর, আগের বার যে ১৩ জন আসেননি, তাঁদের শো কজ করে ফের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। তেমনই নতুন করে আরও ১৩ জনকে প্রশিক্ষণে ডাকা হয়েছে।