general-election-2019-west-bengal

রোগী বেঁচে যাবে, নিশ্চিত ডাক্তার   

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

মেদিনীপুরে মানস। নিজস্ব চিত্র

তিনি গণক নন, তাই জয়ের ব্যবধান বলতে পারবেন না। তবে তিনি জিতছেনই।

Advertisement

লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের তিন দিন আগে এমনই দাবি করলেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। সোমবার বিকেলে মেদিনীপুরে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে তাঁর মন্তব্য, ‘‘২০১১ সালে, ২০১৬ সালেও কয়েকটা চ্যানেল আমাকে হারিয়ে দিয়েছিল। আমি কিন্তু জিতেছি। আমার মনে হয়, এই হারিয়ে দেওয়ার খবরটা আমার কাছে মাঝে মাঝে বোধহয় আশীর্বাদ হয়ে আসে।’’ সেখানেও তিনি বলেন, “যে খবর রবিবার সমীক্ষার নাম করে বিভিন্ন চ্যানেলে প্রকাশ করেছে, আমাদের নেত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন। আমিও মনে করি এটা একটা ভাঁওতা। এর সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই। আমরা জিতছি।”

বিভিন্ন সংস্থার বুথ-ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত, মেদিনীপুর থেকে সম্ভাব্য জয়ী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মানস অবশ্য তাতে আমল দিচ্ছেন না। পাল্টা বলছেন, ‘‘একটা অপপ্রচার কয়েকদিন ধরে চালানো হচ্ছে। গতকাল তা বুথ-ফেরত সমীক্ষার নাম করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কথা না বলা মহা পাপ। তাই আমি আজ মেদিনীপুরে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছি। এই সমীক্ষা কিছুতেই সত্যি নয়।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নির্বাচনের পরে উদ্বেগে দেখা গিয়েছে মানসকে। খড়্গপুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে রাত জেগেছেন। স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ক্যামেরায় সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য নিযুক্ত করেছেন ছ’জন কর্মী। এ দিন মানস জানান, ২ মাস ৭ দিন প্রচার করেছেন তিনি। গ্রামে গ্রামে গিয়েছেন। গত চার-পাঁচদিন ধরেও মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় ঘুরছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি অনেক পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার, বিশ্লেষণ করেছি। দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি নিশ্চিত, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ডাঃ মানস ভুঁইয়া জিতবে, জিতবে, জিতবেই।’’ খড়্গপুর হয়ে সোমবার বিকেলে মেদিনীপুরে আসেন মানস। মেদিনীপুরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকও করেন তিনি। দলের কর্মীদেরও কৃতজ্ঞতা জানান মানস।

তাহলে জয়ের মার্জিন কত হবে?

মানসের জবাব, ‘‘আমি তো গণক নয়, আমি ডাক্তার। আমার কাছে রোগী এসেছে। এটুকু বলতে পারি, রোগী বেঁচে যাবে।’’

পাল্টা দিলীপ বলছেন, ‘‘২৩ মে পর্যন্ত সবাই জিতছেন। তাই মানসবাবু এটা বলতেই পারেন। তবে এক্সিট পোলের অনেক আগে থেকেই বলেছি রাজ্যে ২৩ আসনে জিতছি। আমিও জিতছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন