জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে শুভেন্দু। —নিজস্ব চিত্র
জঙ্গলমহলে বিপ্লব ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে এসে পুলিশের এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
কীভাবে বিপ্লব ঘটিয়েছেন সেই ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পুলিশ এবং মানুষের সম্পর্ক গত সাত বছরে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে গড়েছেন সত্যি প্রশংসার। তিনি খেলাধুলোর প্রসার ঘটিয়েছেন। জঙ্গলমহলে এটা একটা বিপ্লব।’’ এ দিন জঙ্গলমহল কাপ এবং সৈকত কাপের পুরস্কার বিতরণ ছিল মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুল মাঠে। ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলাশাসক পি মোহনগাঁধী, জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। শুভেন্দু বলেন, ‘‘নয়াগ্রামের মণিকা সরেন জাতীয় তিরন্দাজিতে পুরস্কৃত হচ্ছেন। পুরুলিয়ার লক্ষ্মী মান্ডি ফুটবল নিয়ে কলকাতার ময়দান কাঁপাচ্ছেন। এটাই আমাদের পরম প্রাপ্তি।’’
গত ২৫ জানুয়ারি ডেবরার ধামতোড়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভায় এসেছিলেন মুকুল রায়। এ দিন ধামতোড়েই পাল্টা সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমরা যে আবর্জনাকে পরিষ্কার করে ঝেঁটিয়ে ফেলে দিয়েছি, তারা নাকি এখানে জড়ো হয়েছিল। দু’চার জোন লোক জমা হয়েছিল। তবে বলি, ৫০ বছরেও এই বাংলায় তৃণমূলকে হারানোর শক্তি কারও নেই।” তার পরেই বিজেপি-কে বিঁধে শুভেন্দু বলেন, “যাঁরা সব আসছে তাঁরা বাংলা ভাষা জানে না। বাংলা ভাষায় পড়তে-লিখতে জানে না। কালীঠাকুরের ছবি দিয়ে হ্যাপি দুর্গাপুজো লেখে।” তাই শুভেন্দুর দাবি, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু যদি বেঁচে থাকতেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতেন। বিরোধী হলেও জ্যোতি বসুর একসময় সুযোগ এসেছিল। আর এ বার সুযোগ এসেছে কেন্দ্রে বাঙালী নেত্রীর অবিজেপি, অসাম্প্রদায়িক সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার। এ বার বাংলার সঙ্গে বাহারির লড়াই।”