মানস নেই, নদীর ভার শুভেন্দুকে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২৪
Share:

শুভেন্দু অধিকারী

কেলেঘাই-কপালেশ্বরী নদী সংস্কার ও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে বারবার সরব হয়েছেন মানস ভুঁইয়া। কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে রাজনীতি শুরু করা মানস এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। সোমবার খড়্গপুরের মঞ্চে অবশ্য সেই মানসের গরহাজিরাতেই ওই দুই প্রকল্প দেখভালের ভার মুখ্যমন্ত্রী কার্যত সঁপলেন সেচ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে।

Advertisement

শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়েই রেলশহরে বহু কাঙ্খিত জয় পেয়েছে তৃণমূল। রাবণপোড়া ময়দানের মঞ্চে নানা বিষয়ের সঙ্গে জেলায় নদী সংস্কার নিয়েও কেন্দ্রকেই দোষারোপ করেন মমতা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পে ৭০০ কোটি টাকা রাজ্য থেকে দিয়েছি। কেন্দ্র সরকার দেয়নি। ফলে কথায় কথায় যে বন্যা হত তার থেকে মুক্তি মিলেছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা। আজও করল না। এখনও আমরা চেষ্টা করছি।’’ তারপরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘সৌমেন মহাপাত্র অনেকবার গিয়েছেন। শুভেন্দুও গিয়ে কথা বলো।’’ উল্লেখ্য, আগে সৌমেন ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। এখন সেই দফতরের দায়িত্বে শুভেন্দু।

কেন মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ছিলেন না? মানস জানিয়েছেন, তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘রাজ্যসভার অধিবেশনে তিনবার কেলেঘাই-কপালেশ্বরী ও দু’বার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। রাজ্যের প্রতি কেন্দ্র বঞ্চনা করছে।’’ তবে শুভেন্দুকে দায়িত্ব দেওয়ায় অন্তত প্রকাশ্যে বেসুরো বাজছেন না মানস। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে বলায় আমরা কৃতজ্ঞ। শুভেন্দুবাবু কাজের মানুষ। আশা করি সেচমন্ত্রী হিসাবে শুভেন্দুবাবু কেন্দ্র থেকে ওই টাকা আদায় করতে পারবেন।” এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে মানস না থাকলেও দেখা গিয়েছে ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেনকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement