কুকুর খুনে অভিযুক্তর জামিন

প্রসূতি এক কুকুরকে ও তার দুই সদ্যোজাত শাবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। হলদিয়ার এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরও গ্রেফতার হননি মূল অভিযুক্ত অনুপ কুমার দাস।

Advertisement

অপ্রমেয় দত্তগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৮
Share:

অনুপকুমার দাস। নিজস্ব চিত্র।

প্রসূতি এক কুকুরকে ও তার দুই সদ্যোজাত শাবককে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে খুনের পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। হলদিয়ার এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরও গ্রেফতার হননি মূল অভিযুক্ত অনুপ কুমার দাস। পুলিশের তরফ থেকে এতদিন সাফাই ছিল, অভিযুক্তর খোঁজ মিলছে না। ইতিমধ্যে সেই ব্যক্তি জামিন নিয়ে ফিরে এসে কাজেও যোগ দিয়ে দিয়েছেন। আর এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

গত ২৪ অক্টোবর প্রসূতি এক কুকুর ও তার দুই সদ্যোজাত শাবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে অনুপকুমার দাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। হলদিয়া থানায় তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের করেন এলাকারই পশুপ্রেমী পিন্টু মাইতি। কিন্তু এক মাস কেটে গেলেও ফেরার ছিলেন অনুপবাবু। অথচ গত ৪ নভেম্বর হলদিয়া মহকুমা আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। বুধবার বাড়ি গিয়ে দেখাও মিলল তাঁর। অনুপবাবুর সাফাই, ‘‘কুকুরটা আমাকে কামড়াতে আশছি। বাঁচতে গিয়ে বাঁশ দিয়ে কুকুরটাকে মেরে সরাতে গিয়েছিলাম। তবে ওর শাবকদের আমি মারিনি।’’ কিন্তু কোথায় এবং কেন গা ডাকা দিয়েছিলেন সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি অনুপবাবু। বলেন, “নিজের সম্মান রক্ষার তাগিদে এলাকা ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম।’’

আর এই ঘটনার পরই পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগকারী পিন্টু মাইতির কথায়, ‘‘পুলিশ এই ঘটনায় গুরুত্ব দেয়নি বলেই অপরাধ করেও এক মাস ধরে গা ডাকা দিয়ে থাকতে পেরেছিল অভিযুক্ত। বারবার বলা সত্ত্বেও পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তির টিপ্পনী, ‘‘এই পুলিশের উপর ভরসা আর কী করে রাখব বলুন! সামান্য এক কুকুর খুনে অভিযুক্তকেই পুলিশ ধরতে পারল না, আর চোর ডাকাত-খুনিকে এই পুলিশে ধরবে কী করে?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement