এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই তাঁর মৃতদেহ গাড়িতে চাপিয়ে খালে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে নন্দকুমার থানার রাজরামপুর গ্রামে রাস্তার ধারে মৃতদেহসহ একটি গাড়ি আটক করে স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তনুশ্রী বর্মন মনি (২৮)। নন্দকুমার থানার মানুয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, মানুয়াখালি গ্রামের রামচন্দ্র মনির সঙ্গে বছর সাতেক আগে বিয়ে হয়েছিল কলাগেছিয়া গ্রামের তনুশ্রীর। রামচন্দ্রের মাছের ভেড়ি রয়েছে। দম্পতির পাঁচ ও দেড় বছরের দু’টি ছেলে রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে তনুশ্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর তাঁর স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তনুশ্রীর দেহ একটি গাড়িতে চাপিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসছিলেন। অভিযোগ, তনুশ্রীকে অসুস্থ অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে তাঁর বাপের বাড়ির লোককে ফোন করে জানান রামচন্দ্র। খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকজন তমলুক জেলা হাসপাতালে চলে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে তনুশ্রীর খোঁজ না পেয়ে ফোন করলে তাঁরা জানতে পারেন, তনুশ্রী রাস্তায় গাড়িতে রয়েছে।
তনুশ্রীর দেহ নিয়ে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন রাজারামপুর গ্রামে খালের ধারে শ্মশানের কাছে দাঁড়ালে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, দেহ শানে বা শ্মশানের পাশে খালে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরা গাড়ি আটকে পুলিশে জানান। সেই সময়েই তনুশ্রীর স্বামী ও শাশুড়ি পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তনুশ্রীর বাপের বাড়ির লোক রাজারামপুরে পৌঁছলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে ওই মৃতদেহ-সহ গাড়িটি আটক করে।