midnapore

ট্রেনে উঠতে গিয়ে বরাত জোরে রক্ষা 

দৌড়ে ট্রেনে উঠতে যান সুজয়। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ভারসাম্য রাখতে না পেরে ট্রেনের চাকার নীচে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনাটি নজরে আসে প্ল্যাটফর্মে কর্মরত ধর্মেন্দ্রকুমারের। তিনি গিয়ে ওই যাত্রীকে টেনে তুলেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২১
Share:

মেদিনীপুর মেডিক্যালে জখম সুজয়। নিজস্ব চিত্র

চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা হড়কে পড়লেন এক যাত্রী। ট্রেনের চাকার নীচে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রায় নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে তাঁকে বাঁচালেন স্টেশনে কর্তব্যরত এক রেলরক্ষী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে মেদিনীপুর স্টেশন।

Advertisement

রেল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যাত্রীর নাম সুজয় ঘোষ। বছর তেতাল্লিশের সুজয়ের বাড়ি খড়্গপুরের বারবেটিয়ায়। যে রেলরক্ষী সুজয়কে বাঁচিয়েছেন তাঁর নাম ধর্মেন্দ্রকুমার যাদব। তিনি ঘটনার সময়ে স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কর্মরত ছিলেন। শুক্রবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ সেখানে আসে আসানসোল- খড়্গপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন। ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ সেটি স্টেশন থেকে ছাড়ে। দৌড়ে ট্রেনে উঠতে যান সুজয়। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ভারসাম্য রাখতে না পেরে ট্রেনের চাকার নীচে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। ঘটনাটি নজরে আসে প্ল্যাটফর্মে কর্মরত ধর্মেন্দ্রকুমারের। তিনি গিয়ে ওই যাত্রীকে টেনে তুলেন।

হাতে, পায়ে, মাথায় চোট পেয়েছেন ওই যাত্রী। শুরুতে স্টেশনে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। পরে চিকিৎসার জন্য তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জখম ওই যাত্রী মেডিক্যালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

Advertisement

এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘যে ভাবে রেললাইনের দিকে নেমে যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী তাতে মনে হচ্ছিল ওনার মৃত্যু নিশ্চিত। ওই রেলরক্ষীই ওর জীবন বাঁচিয়েছেন।’’ রেলরক্ষী ধর্মেন্দ্রকুমারের সাহসী কাজকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নিরাপত্তা বিষয়ক টুইটার হ্যান্ডেলে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement