Arrest In Midnapore

তিন দিনের পুলিশি হেফাজত, তবে পুলিশের ঘেরাটোপে এসএলএসটি পরীক্ষা দেবেন ধৃত সেই অরিন্দম

রবিবার এসএলএসটি-র পরীক্ষা। তার ঠিক দু’দিন আগে শুক্রবার ওই পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পোস্ট করায় পুলিশের নজরে পড়েন অরিন্দম।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২০:০৭
Share:

ধৃত গৃহশিক্ষক অরিন্দম পাল।

এসএলএসটি পরীক্ষার আগে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন পেশায় গৃহশিক্ষক। তিনি নিজেও এ বার এসএলএসটি পরীক্ষার্থী। শনিবার অরিন্দম পাল নামে ওই অভিযুক্তকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ঘাটাল মহকুমা আদালত। একই সঙ্গে বিচারকের নির্দেশ, রবিবার এসএসসি আয়োজিত এসএলএসটি পরীক্ষা দিতে পারবেন ধৃত যুবক। ওই যুবক যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা পুলিশকে করে দিতে হবে।

Advertisement

রবিবার এসএলএসটি-র পরীক্ষা। তার ঠিক দু’দিন আগে শুক্রবার ওই পরীক্ষা সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পোস্ট করায় পুলিশের নজরে পড়েন অরিন্দম। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার মাংরুল গ্রামে বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বস্তুত, অরিন্দম ফেসবুক লিখেছিলেন, ‘‘আমার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। গত দু’দিন আগে আমার ফোন নম্বরে একটি ফোন আসে। জিজ্ঞেস করা হয়, এসএলএসটি পরীক্ষায় পাশ করে চাকরি করতে চাও? মোট ১৪ লাখ টাকা লাগবে। প্রশ্নপত্র দু’দিন আগে পেয়ে যাবে।’’ তিনি এ-ও লেখেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ থেকে পরীক্ষার দু’দিন আগে বর্ধমান প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র দিয়ে যাবে। সেগুলো মুখস্থ করতে হবে। পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেও দেবে। তার পর দিন ৫০ হাজার দিতে হবে। ইন্টারভিউয়ের সময় ৪ লক্ষ টাকা লাগবে। আর বাকি টাকা চাকরি পাওয়ার পরে।’’ প্রশ্ন করেন, ‘‘তা হলে কি এ বার এই ভাবে প্রতারণা হবে? প্রশ্নপত্র ‘লিক’ (ফাঁস) হয়ে যাবে?’’

এই পোস্টটির তথ্য ভুয়ো বলে চিহ্নিত করার পর ওই এসএলএসটি পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার পুলিশ আদালতে জানায়, ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ওই ফেসবুক পোস্টে মুর্শিদাবাদের যে ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, তার সূত্র খোঁজা হবে।

Advertisement

আদালত জানতে পারে ধৃত নিজে এসএলএসটি পরীক্ষার্থী। ঘাটালের রথিপুর বাণীবিদ্যাপীঠ স্কুলে তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র। তাই পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিলেও ওই যুবক যাতে পরীক্ষা দিতে পারেন পুলিশকে সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের তরফে সাধারণ মানুষ তথা পরীক্ষার্থীদের সচেতন করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর কোনও তথ্য যেন হুটহাট করে কেউ সমাজমাধ্যমে শেয়ার বা পোস্ট না করেন। না-হলে আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement