ইতিহাস নিয়ে আক্ষেপ মানসের

বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালক) ১৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বর্ষ উদযাপন উৎসবে যোগ দিতে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন মানস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০০:২৯
Share:

বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠে সাংসদ।

সার্বিকভাবে মেদিনীপুরের ইতিহাসের লিখিত রূপ দেওয়ার তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করলেন রাজ্যসভার সাংসদ মানস ভুঁইয়া। সাংসদের দাবি, ‘‘এই উদ্যোগ নেওয়া হোক। আমি সব রকমভাবে সাহায্য করব।’’

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠের (বালক) ১৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বর্ষ উদযাপন উৎসবে যোগ দিতে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন মানস। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী তথা সবংয়ের বিধায়ক গীতা ভুঁইয়া। তাঁর আক্ষেপ, নতুন প্রজন্ম মেদিনীপুরের ইতিহাস বিশদে জানে না। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটিশ আমলে পরপর তিন অত্যাচারী জেলাশাসক খুন হয়েছিলেন মেদিনীপুরে। আজকের ছেলেমেয়েদের ক’জন এটা জানে?’’ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম, মাতঙ্গিনীর জেলার সন্তান। এটা মাথা উঁচু করে বলি না। কেন বলব না? ইতিহাস সংরক্ষণ জরুরি। এটা করতেই হবে।’’

স্বাধীনতা আন্দোলনের পর্বে বিপ্লবী আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র ছিল মেদিনীপুর। এই শহর জুড়ে এমন অনেক এলাকা রয়েছে যান নাম শুনলেই পিছনের ইতিহাসটা জানতে ইচ্ছে করে। মানসবাবুর বক্তব্যে এ সব দিকও উঠে আসে। তাঁর মতে, মেদিনীপুরের আগাগোড়া ইতিহাস গ্রথিত নেই। পাশাপাশি, রাজ্যসভার এই সাংসদের দাবি, ‘‘শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজ্যকে এগিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

Advertisement

এ দিন স্কুলে কৃতী ছাত্রদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। ছিলেন জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরূপ ভুঁইয়া, স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সুকুমার পড়্যা প্রমুখ। নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন