তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় মানস ভুঁইয়াদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল মেদিনীপুর আদালত। মঙ্গলবার এই আবেদনের শুনানি ছিল মেদিনীপুর আদালতে। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে আবেদন খারিজ করে দেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক আশুতোষ কর। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মানসবাবুরা হাইকোর্টে যেতে পারেন।
মেদিনীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাজকুমার দাস বলেন, “আদালত আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ওঁরা (মানসবাবুরা) এই ঘটনায় যুক্ত। ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীরা আদালতে এ কথা জানিয়েছেন।” মানসবাবুদের আইনজীবী হরিসাধন ভট্টাচার্যের অবশ্য বক্তব্য, “এটা মিথ্যা মামলা। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওঁদের (মানসবাবুদের) এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” এই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাবেন বলে জানান মানসবাবু।
ভোটের আগে সবংয়ের দুবরাজপুরে খুন হন তৃণমূল কর্মী জয়দেব জানা। তাঁর স্ত্রী মানসীদেবীর অভিযোগ, মানসবাবুই লোক দিয়ে ডাকিয়ে খুন করিয়েছেন জয়দেবকে। যদিও বাম ও কংগ্রেসের বক্তব্য, গ্রামে ঢুকে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য শাসানি এবং মহিলাদের সঙ্গে অশালীনতা করছিলেন জয়দেব। তাতেই বিপত্তি ঘটে। ঘটনায় ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন মানস ভুঁইয়া সহ অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতা- কর্মীরা।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে সেই আবেদন শুনানি ছিল। শুরুতে সওয়াল করেন মানসবাবুদের আইনজীবীরা। পরে সওয়াল করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাজকুমারবাবু। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে আবেদন খারিজ করে দেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক আশুতোষ কর।
এর ফলে, মানসবাবুরা বিপাকে পড়লেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। মেদিনীপুর আদালতের এক আইনজীবী বলেন, “চাইলে পুলিশ যে কোনও সময় ওঁদের গ্রেফতারও করতে পারে।
এ দিকে, এই তৃণমূল কর্মী খুনের মামলার সূত্রে আরও একটি মামলায় জড়িয়েছে মানসবাবুর নাম। নিহত জয়দেবের স্ত্রী মানসীদেবী সবং থানায় অভিযোগ করেছেন, গত ৮ মে রাতে ১২ জন সশস্ত্র যুবক তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে খুনের মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দেয়। ওই যুবকেরা যাওয়ার সময় জানিয়ে গিয়েছে, মানস ভুঁইয়া এবং অমলেশ বসু তাদের পাঠিয়েছে। ফের ১৪ জনের নামে মামলা হয়। অভিযুক্তদের তালিকার ১৩ নম্বরে মানসবাবু এবং ১৪ নম্বরে অমলেশবাবুর নাম রয়েছে।