গাফিলতিতেই পলাতক বন্দি, ক্ষোভ মন্ত্রীর

সিসি ক্যামেরা নেই। নেই বিপদ ঘণ্টিও। দুই বন্দি পালানোর পর কাঁথি উপ-সংশোধনাগারের পরিকাঠামোগত ফাঁক নিয়ে সামনে এসেছিল এমনই নানা প্রশ্ন।মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে জেলের কর্মীদের তৎপরতা নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করলেন কারা মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ১৩:১৫
Share:

পরিদর্শন: উপ-সংশোধনাগারে কারামন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

সিসি ক্যামেরা নেই। নেই বিপদ ঘণ্টিও। দুই বন্দি পালানোর পর কাঁথি উপ-সংশোধনাগারের পরিকাঠামোগত ফাঁক নিয়ে সামনে এসেছিল এমনই নানা প্রশ্ন। মঙ্গলবার পরিদর্শনে এসে জেলের কর্মীদের তৎপরতা নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করলেন কারা মন্ত্রী অবনীমোহন জোয়ারদারও। অবহেলার কারণেই যে জেল থেকে বন্দি পালিয়েছে, তাও বুঝিয়ে দেন মন্ত্রী।

Advertisement

যে বন্দির আগে জেল পালানোর ইতিহাস রয়েছে, তার ক্ষেত্রে কর্মীদের আরও সতর্ক হওয়া উঠিত ছিল বলে মন্তব্য করেন অবনীবাবু। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জেলে সিসি ক্যামেরা থাকলেও এই ঘটনা ঘটত, না থাকলেও ঘটত। এটা মানুষের ভুল। অনেকটা ইচ্ছাকৃতও বলা যায়।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সারা রাত জেলের গ্রিল কাটা হল অথচ সেই শব্দ কেউ শুনতে পেলেন না। শুধু পরিকাঠামোর অজুহাত দিয়ে কোনও লাভ নেই।’’

পলাতক বন্দিরা যে অস্ত্র বা সামগ্রী দিয়ে জেলের গ্রিল কাটল ,তা জেলের ভেতরে এল কী ভাবে, বন্দি পালানোর পর সেই অস্ত্র গেল কোথায়, বন্দিরা কী ভাবে জেলের ১৮ ফুট উঁচু পাঁচিল টপকাল— তদন্তে এমন সব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানান মন্ত্রী।

Advertisement

গত ১ মে রাতে পুলিশ খুন, ডাকাতি, পেট্রোল পাম্প লুঠের মতো ঘটনায় জড়িত দুই দাগি আসামি পালায় কাঁথি উপ-সংশোধনাগার থেকে। ২ মে সকালে কয়েদি গোনার সময় দেখা যায় দু’জন কম। পলাতক বন্দিদের মধ্যে রয়েছে ডাকাতি, পুলিশের কনস্টেবল খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত কর্ণ। তার সঙ্গে পালায় খিদিরপুরের মেটিয়াবুরুজ এলকার বাসিন্দা শেখ নাজির হোসেন নামে আরও এক বিচারাধীন বন্দি।

ঘটনায় দুই কারা কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। সাব-কন্ট্রোলার সুরজিৎ বিশ্বাসকে শো-কজ ও বদলি করা হয়েছে। ঘটনার পরে কাঁথির জেলে পরিদর্শনে এসে মঙ্গলবার কারামন্ত্রী দাবি করেন, ‘‘জেলের নিয়ম অনুযায়ী এখানে আসামীদের ঢোকা বেরোনোর সময় সারা শরীর তল্লাশি করা ও ছবি তোলা হয় না।’’ প্রয়োজনে সংশোধনাগারে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথাও
জানান তিনি।

জেলের এক সূত্রে খবর, সাব-কন্ট্রোলার সুরজিৎ বিশ্বাস ও সাসপেন্ড হওয়া দুই কারা কর্মী সোমবার রাতে জেল সুপার তথা উপ-মহকুমাশাসক কৌশিক চট্টোপাধ্যায়ের কাছে শো-কজের জবাব দিয়েছেন। জেল সুপার জানান, তিনি সেই জবাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাচ্ছেন। এ দিন কারামন্ত্রীর সঙ্গেই জেল পরিদর্শন করেন আইজি (কারা) অরুণকুমার গুপ্ত। উপ-সংশোধনাগারে নিয়মিত তল্লাশি চালানো ও জেলের অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার জন্য এ দিন জেলা পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসুকে বলেন কারা মন্ত্রী ও ডিআইজি (কারা)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement