Keshpur

কেশপুরে ‘সাবধান’ তৃণমূল, অভিষেক সতর্ক করতেই ‘রেষারেষি’ ভোলার ইঙ্গিত অজিত, শিউলিদের কথায়

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। ২০১১ সাল থেকে বার বার বদলেছে ব্লক সভাপতি। অভিযোগ, প্রাক্তন ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বর্তমানের বিরোধ বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেশপুর শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৮:৩১
Share:

কেশপুরের সভায় ‘রেষারেষি’ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল ছবি।

বার বার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছে কেশপুরে। শনিবার সেখানে সভা করতে গিয়ে ‘রেষারেষি’ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তিন চার জন নেতার জন্য দলের মাথা নত হলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না। তার পরেই রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি জানান, আগে থেকেই এ বিষয়ে সাবধান করা হচ্ছিল। তবে এখন সকলে তা মেনে চলবেন। ‘সাবধানে’ কাজ করার কথা জানিয়েছেন বিধায়ক শিউলি সাহাও।

Advertisement

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কেশপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছে। ২০১১ সাল থেকে বার বার বদলেছে ব্লক সভাপতি। অভিযোগ, প্রাক্তন ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার বিরোধ বেড়েছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রদ্যুতের শিবিরে রয়েছেন বিধায়ক শিউলি। জেলা কোঅর্ডিনেটর অজিত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছেন। কিন্তু গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছেই।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার কেশপুরে জনসভা করে কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তার পরেই সতর্ক অজিত এবং শিউলি। অজিত বলেন, ‘‘আগে থেকেই সাবধান করা হচ্ছিল। অভিষেক যে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, তা দলের কর্মীদের জন্য নির্দেশ এবং উপদেশ। সেই নির্দেশ মেনে চলবে সবাই।’’ কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা যদিও বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। তবে সকলের সাবধানে কাজ করা উচিৎ। অভিষেকের বক্তব্যে আমি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিরোধীদের জায়গা ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’’

Advertisement

রবিবারের সভায় অভিষেক বার্তা দেন যে, নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করলে দল তা বরদাস্ত করবে না। নিজেদের শুধরে নেওয়ার জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। অভিষেক বলেছেন, ‘‘যাঁরা নিজেদের মধ্যে রেষারেষি করতে গিয়ে দলকে দুর্বল করছেন, তাঁদের এক মাস সময় দিয়ে গেলাম।’’ এর পরেই তিনি কড়া ভাবে বলেন, ‘‘তৃণমূল কর্মীরা মাথা নত করলে মানুষের কাছে করবে। কিন্তু তিন-চার জন নেতার রেষারেষির কারণে, দলের মাথা নত হলে ছেড়ে কথা বলব না। আজকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম। আমি সময় দিচ্ছি শুধরে যান। না হলে যে ওষুধ প্রয়োগ করব, সেই ওষুধে কাজ হলে আর শোধরানোর সময় পাবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন