মারে মৃত্যু ছাত্রীর, ধৃত মা

গালে সপাটে চড় পরে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে গোয়ালতোড় শহরের কোলে মোড়ের এই ঘটনায় মৃতের নাম অরুণিমা সরকার(১৫)। ওই রাতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক বিশুইয়ের লিখিত অভিযোগের বিত্তিতে মা রুবি সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নামে খুনের মামলা শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৫ ০১:০৯
Share:

পুলিশি হেফাজতে রুবিদেবী। —নিজস্ব চিত্র।

গালে সপাটে চড় পরে শ্বাসরোধ করে মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে গোয়ালতোড় শহরের কোলে মোড়ের এই ঘটনায় মৃতের নাম অরুণিমা সরকার(১৫)। ওই রাতেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক বিশুইয়ের লিখিত অভিযোগের বিত্তিতে মা রুবি সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের নামে খুনের মামলা শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে গড়বেতা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা নিশীথ সরকার আগে ঠিকাদারের কাজ করতেন। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে দেনার দেয়া কাজ ছেড়ে দেন তিনি। বর্তমানে স্থানীয় একটি হোটেলে কাজ করেন নিশীথবাবু। সরকার দম্পতির ছেলে নিরুপম কলেজ পড়ুয়া আর মেয়ে অরুণিমা গোয়ালতোড় বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সম্প্রতি রুবিদেবী বাড়ির সামনেই একটি চায়ের দোকান খুলেছিলেন। তবে সাংসারিক অশান্তি লেগেই ছিল সরকার পরিবারে। পড়শিরা জানিয়েছেন, ঝামেলার সময় বাবাকেই সমর্থন করত অরুণিমা।

ঠিক কী ঘটেছিল সোমবার দুপুরে? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ভাত খাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। তখন অরুনিমা মাকে বাধা দেয়। বিকাল পর্যন্ত তা নিয়ে কথা কাটাকাটি চলছিলই। সেই সময় রুবিদেবী মেয়েকে গালে সপাটে চড় মারেন বলে অভিযোগ। তখন অরুণিমা বাধা দেওয়ায় তাকে রুবিদেবী শ্বাসরোধ করে খুন করেন হলে অভিযোগ। এরপরই নিশীথবাবু চিৎকার শুরু করেন। পড়শিরা বাড়িতে ঢুকে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছে অরুণিমার দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা অরুণিমাকে গোয়ালতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ শ্মশান থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।

Advertisement

পড়শিদের হাতে প্রহৃত হন ওই কিশোরীর মা। রাতে মৃতার বাবা ও দাদাকে প্রাথমিক জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পড়শি এবং তৃণমূলের গোয়ালতোড় অঞ্চল সভাপতি দীপক বিশুইয়ের অভিযোগে পুলিশ খুনের মামলা শুরু করে মা রুবি সরকারের বিরুদ্ধে। রাতেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দীপকবাবু বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দা হিসাবে যা জানি এবং শুনেছি-সেটাই পুলিশকে জানিয়েছি।” আর নিশীথবাবুর কথায়, ‘‘আমার সব শেষ। মেয়েটাকেও মেরে ফেলল। আমি চাই ওর উপযুক্ত শাস্তি হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন