Dengue

নামেই আগাম সমীক্ষা, ক্ষোভ পুর-ভূমিকায়

সুভাষপল্লি, ভবানীপুর, ইন্দা, সাঁজোয়াল, রথতলা, পাঁচবেড়িয়া, খরিদা, মালঞ্চ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রেল ও মহকুমা হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা না থাকায় অনেকের নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৫০
Share:

গত বছরে ১২ মাসে ৫৮জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর চলতি বছরে ৮ মাসেই সংখ্যাটা ৭০-এ পৌঁছেছে। ডেঙ্গির এমনই প্রকোপ খড়্গপুরে। পরিসংখ্যান বলছে, দেহে ডেঙ্গির জীবাণু রয়েছে সন্দেহে ১৭০জনের রক্তের নমুনা ম্যাকএলাইজা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

অথচ শহরে ডেঙ্গি মোকাবিলায় আগাম তৎপর হয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সতর্ক করা হয়েছিল পুরসভাকে। ডেঙ্গির মরসুমের শুরুতে পুরসভার স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে সমীক্ষা শুরু করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। প্রতি মাসে দু’দফায় সেই সমীক্ষা এখনও চলছে। কিন্তু সমীক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি কার্ড সই করে নিয়ে আসা ছাড়া কিছুই করছে না বলে অভিযোগ। প্রথম পর্যায়ে কয়েকটি ডেঙ্গি প্রবণ রেল ওয়ার্ডে অভিযান চললেও পরে পুর-ওয়ার্ডে ওই অভিযান চলেনি বলেই জানাচ্ছেন শহরবাসী। এখন পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ার পরেও পুরসভার হেলদোল দেখা যাচ্ছে না।

সুভাষপল্লি, ভবানীপুর, ইন্দা, সাঁজোয়াল, রথতলা, পাঁচবেড়িয়া, খরিদা, মালঞ্চ এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রেল ও মহকুমা হাসপাতালে শয্যা ফাঁকা না থাকায় অনেকের নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলছে। অনেককে ছুটতে হচ্ছে কলকাতায়। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুরুষ ও মহিলা মেডিক্যাল বিভাগে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি রয়েছেন।”

Advertisement

পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করছেন, শহর জুড়ে ডেঙ্গি রোধে নিয়মিত দেওয়া হয়েছে মশা মারার তেল। প্রতিটি এলাকায় সাফাই অভিযান চলছে। কিন্তু শহরবাসীর অভিযোগ, শুধুমাত্র কয়েকটি ওয়ার্ডে ধোঁয়া দিয়ে দায় সেরেছে পুরসভা। এলাকায় আবর্জনা ও জমা জল বাড়লেও পরিষ্কার করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, ডেঙ্গি রোধে প্রতিটি এলাকায় পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মশা মারার তেল দেওয়া জরুরি। সেই সঙ্গে চাই সচেতনতা প্রচার। কিন্তু খড়্গপুরবাসীর ক্ষোভ, শহর জুড়ে ডেঙ্গির রোগীর সংখ্যা বাড়লেও পুরসভা এ সমব নিয়মের ধারপাশ দিয়ে যাচ্ছে না। তাই খড়্গপুর শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বিগ্ন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “আমরা খড়্গপুরের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। পুরসভা যাতে ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হয়, সেই চাপও দেওয়া হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন