নতুন বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমি খুঁজতে শুরু করল প্রশাসন। মেদিনীপুর ও বেলদায় নতুন বাসস্ট্যান্ড হবে। সম্প্রতি বেলদায় বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমি পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রাথমিক ভাবে বেলদার গাঁধীমূর্তির পাশেই স্ট্যান্ড তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করছে প্রশাসন। এ জন্য বেশ কয়েকজন হকারকে সরতে হবে। হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হবে। মেদিনীপুরে নতুন বাসস্ট্যান্ড হবে শহর লাগোয়া ধর্মার কাছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি বলেন, “বেলদা এবং মেদিনীপুরে বাসস্ট্যান্ড হবে। দ্রুততার সঙ্গে জায়গা চিহ্নিত করার কাজ চলছে।”
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, স্ট্যান্ডের বিশদ প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে পরিবহণ দফতরের কাছে পাঠানো হবে। পরিবহণ দফতর অনুমোদন করলে কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির আগেই কথাও হয়েছিল। শুভেন্দুবাবুর সবুজ সঙ্কেত পেয়েই জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে জেলায়।
গত মঙ্গলবার মেদিনীপুরে এসে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মন্ত্রী শুভেন্দুবাবু। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের এই বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনাও। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে বেলদা, মেদিনীপুর, খড়্গপুরের বাসস্ট্যান্ড নিয়েও কথা হয়। বাসস্ট্যান্ডের জন্য জমি চিহ্নিত করার কথা জানিয়ে দেন মন্ত্রী। পরে শুভেন্দুবাবুও বলেন, “মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরে আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড তৈরি করা, বেলদাতে একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক মানের বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন জায়গার ব্যবস্থা করবে।” খড়্গপুরের বাসস্ট্যান্ডটি রয়েছে রেলের এলাকায়। রেল-পুরসভার টানাপড়েনে প্রায়ই উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। বাসস্ট্যান্ডটি আধুনিক মানের করতে গেলে নতুন করে কোনও সমস্যা হবে না তো? মন্ত্রীর আশ্বাস, “রেল এনওসি দিচ্ছে। তমলুকের ক্ষেত্রে দিয়েছে। খড়্গপুরে কোনও সমস্যার কথা আমার জানা নেই। কোনও সমস্যার কথা প্রশাসন কিংবা পুরসভা জানালে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবো।”
প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, কোথায় বাসস্ট্যান্ড হতে পারে তার জন্য দ্রুত জায়গা পাওয়ার চেষ্টা চলছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ডিপিআর তৈরির কাজ শুরু হবে। অর্থ মঞ্জুর হলেই কাজ শুরু হবে।”